|
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ | | ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন | [অক্টোবর ১৫, ২০০৯] | |
যেহেতু, ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; |
| |
| | |
|
|
|
সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
|
| | |
| | প্রথম অধ্যায় প্রারম্ভিক | |
| | |
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ | | ১। (১) এই আইন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবেঃ
তবেশর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্টএলাকাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের সকল বা কোন বিধানেরপ্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কাযর্কর হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সংজ্ঞা | | ২। -বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা' অর্থ পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ান আনসার, বাংলাদেশ রাইফেলস, কোস্ট গার্ড বাহিনী এবং প্রতিরৰা কর্মবিভাগসমূহ;
(২) 'আচরণ বিধিমালা' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত আচরণ বিধিমালা;
(৩) 'আর্থিক প্রতিষ্ঠান' অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নংআইন) এর ধারা ২ এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(৪) 'ইমারত' অর্থে কোন দোকান, বাড়িঘর, কুঁড়েঘর, বৈঠকঘর, চালা, আস্তাবল বা যে কোন প্রয়োজনে যে কোনদ্রব্যাদি সহযোগে নির্মিত কোন ঘেরা, দেয়াল, পানি-সংরক্ষণাগার, বারান্দা, প্ল্যাটফর্ম, মেঝে ও সিঁড়িও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৫) 'ইউনিয়ন' অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষিত পলস্নী এলাকা এবং বিদ্যমান ইউনিয়নসমূহ;
(৬) 'ইউনিয়ন পরিষদ' অর্থ এই আইনের ধারা ১০ এর অধীন গঠিত একটি ইউনিয়ন পরিষদ;
(৭) 'উপজেলা' অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) এর অধীনে উপজেলা হিসাবে ঘোষিত এলাকা এবং বিদ্যমান উপজেলাসমূহ;
(৮) 'উপজেলা পরিষদ' অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) এর অধীনে গঠিত উপজেলা পরিষদ;
(৯) 'উপজেলা নির্বাহী অফিসার' অর্থ একটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার;
(১০) 'ওয়ার্ড' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড;
(১১) 'কর' অর্থ কোন কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফি, শুল্ক অথবা এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য কোন করও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১২) 'গ্রাম এলাকা' অর্থ শহর হিসাবে ঘোষিত নয় এইরূপ এলাকা;
(১৩) 'চেয়ারম্যান' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;
(১৪) 'জনপথ' অর্থ সর্বসাধারনের ব্যবহার্য পথ, রাস্তা ও সড়ক;
(১৫) 'জনসংখ্যা' অর্থ সর্বশেষ আদমশুমারিতে উলিস্নখিত জনসংখ্যা;
(১৬) 'জমি' অর্থ নির্মাণাধীন বা নির্মিত অথবা জলমগ্ন যে কোন জমি;
১৭। 'জেলা' অর্থ District Act, 1836 (Act No. 1 of 1836) এর অধীন সৃষ্ট জেলা;
(১৮) 'ডেপুটি কমিশনার' অর্থে এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে নিয়োগকৃতকোন কর্মকর্তাকে বুঝাইবে যিনি ডেপুটি কমিশনারের সকল কিংবা যে কোন কার্যপালন করিবেন;
(১৯) 'তফসিল' অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(২০) 'তহবিল' অর্থ ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল;
(২১) 'থানা' অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এর বিধান অনুযায়ী গঠিত পুলিশ স্টেশন;
(২২) 'দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা' অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বাতৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;
(২৩) 'নগর এলাকা' অর্থ নগর হিসাবে ঘোষিত এলাকা;
(২৪) 'নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ' অর্থ সরকার বা এই আইনের কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন সরকারি কর্মকর্তা;
(২৫) "নির্ধারিত পদ্ধতি' অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি।
(২৬) 'নির্বাচন কমিশন' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;
(২৭) 'নির্বাচন পর্যবেক্ষক' অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা, যাহাকে নির্বাচন কমিশনবা এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোননির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য লিখিতভাবে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে;
(২৮) 'নির্ভরশীল' অর্থ প্রার্থীর স্বামী বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, সৎ ছেলে-মেয়ে, পিতা, মাতা, ভাই বা বোন যিনি প্রার্থীর উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল;
(২৯) 'নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ' অর্থে দণ্ড বিধি, ১৮৬০ (Penal Code, 1860) এসংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, সম্পত্তি আত্নসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং Prevention of Corruption Act, 1947 (Act.II of 1947) এ সংজ্ঞায়িত Criminal Misconduct ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩০) 'পথ' অর্থেজনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হোক বা না হোক পায়ে চলার এমন পথ, মাঠ, বহিরাঙ্গন বা চলাচলের রাস্তা বা সড়কও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩১) 'পরিষদ' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ;
(৩২) 'প্রবিধান' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৩৩) 'বাজার' অর্থ এমন কোন স্থান যেখানে জনগণ মাছ, মাংস, ফল-মূল, শাক-সবব্জী বাঅন্য যে কোন খাদ্য দ্রব্য বিক্রয় ও ক্রয়ের জন্য সমবেত হয় অথবা পশু বাগরু-ছাগল ও পশু-পক্ষী ক্রয়-বিক্রয় হয় এবং এমন কোন স্থান যাহা বিধি মোতাবেকবাজার হিসাবে ঘোষণা করা হইয়াছে;
(৩৪) 'বাজেট' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের একটি আর্থিক বৎসরের আয় ও ব্যয়ের নির্ধারিত আর্থিক বিবরণ;
(৩৫) 'বার্ষিক মূল্য' অর্থ কোন গৃহ বা জমি প্রতি বছর ভাড়া দিয়া প্রাপ্ত অথবা প্রাপ্য মোট টাকা;
(৩৬) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৩৭) 'ব্যাংক' অথ
(ক) ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;
(খ) The Bangladesh Shilpa Rin Sangstha Order, 1972 (P.O.No. 128 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা;
(গ) The Bangladesh Shilpa Bank Order, (P.O. No. 129 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক;
(ঘ) The Bangladesh House Building Finance Corporation Order, 1973 (P.O. No.17 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্সকর্পোরেশন;
(ঙ) The Bangladesh Krishi Bank Order, 1973 (P.O. No. 27 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক;
(চ) The Investment Corporation of Bangladesh Ordinance, 1976 (Ordinance No. XL of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ;
(ছ) The Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986 (Ordinance No.LVIII of 1986) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক; বা
(জ)কোম্পানী আইন ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Basic Bank Limited (Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited);
(৩৮) 'মৌজা' অর্থ কোন নির্দিষ্ট এলাকা যাহা ভূমি জরিপের মাধ্যমে কোন জেলারভূমি সংক্রান্ত দলিলে মৌজা হিসাবে লিপিবদ্ধ ও সংজ্ঞায়িত;
(৩৯) 'রাস্তা' অর্থে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত নয় এমন রাস্তাও ইহার অনত্দর্ভুক্ত হইবে;
(৪০) 'লাভজনক পদ' (Office of profit) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারী সংবিধিবদ্ধকতৃর্পক্ষ কিংবা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ও যে সকল কোম্পানীতে সরকারের ৫০%এর অধিক শেয়ারের মালিকানা আছে সে সকল কোম্পানীতে সাবর্ক্ষণিক বেতনভুক্তঅফিস, পদ বা অবস্থান;
(৪১) 'সংক্রামক ব্যাধি' অর্থে এমন ব্যাধিযাহা একজন ব্যক্তি হইতে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে এবং সরকার কর্তৃকসরকারি গেজেটে প্রকাশিত অন্য যে কোন ব্যাধিও ইহার অনত্দর্ভুক্ত হইবে;
(৪২) 'সংবিধান' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান;
(৪৩) 'সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের১৫২(১) অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ;
(৪৪) 'সদস্য' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য;
(৪৫) 'সরকার' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার;
(৪৬) 'সরকারি রাস্তা' অর্থ সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোনকর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেৰণাধীন জনসাধারণের চলাচলের জন্য সকল রাস্তা;
(৪৭) 'স্থানীয় কর্তৃপক্ষ' অর্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা;
(৪৮) 'স্থায়ী কমিটি' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটি;
(৪৯) 'হাট' অর্থ পণ্যসামগ্রী, খাদ্য, মালামাল, পশুসমপদ, ইত্যাদি সপ্তাহেরনির্দিষ্ট দিন ও সময়ে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান। | |
| | |
| |
| | |
| | দ্বিতীয় অধ্যায় ওয়ার্ড | |
| | |
ওয়ার্ড গঠন | | ৩। (১) ইউনিয়ন পযার্য়ে সংরক্ষিত আসন ব্যতিরেকে সাধারণ সদস্য নিবার্চনের জন্য ইউনিয়নকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে হইবে।
(২) সংরক্ষিত আসনে সদস্য নিবার্চনের উদ্দেশ্যে একটি ইউনিয়নকে ৩ (তিন) টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ওয়ার্ড সভা | | ৪। (১) এই আইনের অধীন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ওয়ার্ড সভা গঠন করিতে হইবে।
(২) প্রত্যেক ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে ঐ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভা গঠিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ওয়ার্ড পর্যায়ে উম্মুক্ত সভা | | ৫। (১) প্রত্যেক ওয়ার্ড সভা উহার স্থানীয় সীমার মধ্যে বৎসরে কমপক্ষে ৩ (তিন) টি সভা অনুষ্ঠিত করিবে যাহার একটি হইবে বাৎসরিক সভা।
(২) ওয়ার্ড সভার কোরাম সবর্মোট ভোটার সংখ্যার বিশ ভাগের একভাগ দ্বারা গঠিত হইবে;
তবে মূলতবী সভার জন্য কোরাম আবশ্যক হইবে না, যাহা সাত দিন পর একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩)ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠানের অন্যূন সাতদিন পুর্বে যথাযথভাবে সহজ ওগ্রহণযোগ্য উপায়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; মূলতবী সভার ক্ষেত্রেও অনুরুপগণবিজ্ঞপ্তি জারি করিতে হইবে।
(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্ডসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যসভাপতি হিসাবে উক্ত সভা পরিচালনা করিবেন।
(৫) সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ওয়ার্ড সভার উপদেষ্টা হইবেন।
(৬)ওয়ার্ড সভায় ওয়ার্ডের সাবির্ক উন্নয়ন কাযর্ক্রমসহ অন্যান্য বিষয়সমূহপযার্লোচনা করা হইবে; বার্ষিক সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য বিগত বৎসরেরবার্ষিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক সংশ্লেষসহ ওয়ার্ডের চলমান সকল উন্নয়নকাযর্ক্রম সম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং ওয়ার্ড সভার কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকরা সম্ভব না হইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য এবং পরিষদের চেয়ারম্যান উহারযৌক্তিকতা ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ওয়ার্ড সভার ক্ষমতা, কার্যাবলী, ইত্যাদি | | ৬। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ড সভার নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা, কার্যাবলী ও অধিকার থাকিবে, যথা :-
(ক) ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিন্যস্তকরণে সহায়তা প্রদান;
(খ) ওয়ার্ড পযার্য়ে প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত এবং বাস্তবায়নযোগ্য স্কীম ও উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রাধিকার নিরূপণ;
(গ)নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির উপকারভোগীদেরচূড়ান্ত অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত ও ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর;
(ঘ) উন্নয়ন প্রকল্প কাযর্করভাবে বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান;
(ঙ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং সেবামূলক কাযর্ক্রম বাস্তবায়নে উৎসাহ প্রদান ও সহায়তাকরণ;
(চ)রাস্তার বাতি, নিরাপদ পানির উৎস ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য ইউনিট, সেচসুবিধাদি এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প স্থান বা এলাকা নির্ধারণেরজন্য পরিষদকে পরামর্শ প্রদান;
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশসংরক্ষণ, বৃক্ষ রোপণ, পরিবেশ দূষণ রোধ, দুনীর্তিসহ অন্যান্য সামাজিকঅপকর্মের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(জ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণী ওপেশার লোকের মধ্যে ঐক্য ও সুসম্পর্ক সৃষ্টি করা, সংগঠন গড়ে তোলা এবংবিভিন্ন প্রকার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা;
(ঝ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত উপকারভোগী শ্রেণী বা গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ, তদারক ও সহায়তা প্রদান;
(ঞ) সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচিভুক্ত (যেমন, বয়স্কভাতা, ভর্তুকি, ইত্যাদি) ব্যক্তিদের তালিকা যাচাই ও মূল্যায়ন;
(ট) ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়নযোগ্য কাজের প্রাক্কলন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি সংরক্ষণ;
(ঠ) সম্পাদিতব্য কাজ ও সেবাসমূহের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ;
(ড) পরিষদ কতৃর্ক ওয়ার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের যৌক্তিকতাসমূহ অবহিত হওয়া;
(ঢ)ওয়ার্ড সভা কতৃর্ক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পযার্লোচনাকরা এবং কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা;
(ণ)জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাযর্ক্রম, বিশেষত: বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ এবংপরিবার পরিকল্পনা কাযর্ক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা করা; স্যানিটেশন কাযর্ক্রমেরসঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রেস্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান;
(ত) ওয়ার্ডের বিভিন্নএলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ, রাস্তা আলোকিতকরণ ও অন্যান্য সেবা প্রদানেত্রুটি বিচ্যূতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা;
(থ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন;
(দ) যৌতুক, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ ও এসিড নিক্ষেপের মত সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে সামাজিক আন্দোলন গড়িয়া তোলা;
(ধ) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাযর্ক্রমে সহযোগিতা প্রদান করা;
(ন) আত্ম কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উৎসাহিত করা;
(প) সরকার বা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন।
(২)ওয়ার্ড সভা ইহার সাধারণ বা বিশেষ সভায় প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনপর্যালোচনা করিবে; তাছাড়া উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী, বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বাজেট বিভাজন, কর্মপরিকল্পনা, খাত ভিত্তিক অর্থবরাদ্দ, প্রাক্কলন, সম্পাদিত ও সম্পাদিতব্য কাজের মালামাল ক্রয় বাবদ অর্থব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে ওয়ার্ডের উন্মুক্ত দর্শনীয়স্থানে বোর্ডে লিখে টাঙ্গাইয়া দিবেন।
(৩) ওয়ার্ড সভায় অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন ও আলোচনা করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে সভার মতামত ও সুপারিশপরিষদের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) ইউনিয়নপরিষদের সচিব ওয়ার্ড সভায় উপস্থিত থাকিয়া সভার কাযবিবরণী তৈরী ও গৃহীতসিদ্ধান্তসমূহ রেকর্ড করিবেন এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরবর্তী পরিষদ ও ওয়ার্ডসভায় উপস্থাপন করিবেন।
(৫) ওয়ার্ড সভা কোন সাধারণ বা বিশেষ কাযার্দি সম্পন্ন করিবার উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০ (দশ) জনের অধিক হইবে না এবং তন্মধ্যে অন্যূন ৩ (তিন) জন মহিলা হইবেন ।
(৬)সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে ওয়ার্ড সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে যতদূরসম্ভব সাধারণ ঐক্যমতের এবং সভায় উপস্থিত মহিলাদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতেসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বাঞ্চনীয় হইবে।
(৭) ওয়ার্ড সভা বিজ্ঞপ্তিআহবানের মাধ্যমে সম্ভাব্য উপকারভোগীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত দরখাস্তসমূহতদন্ত করিয়া যাচাই বাছাইয়ের জন্য সভায় উপস্থাপন করিবে; সভায় যাচাই বাছাইয়েরপর নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে উপকারভোগীদের চূড়ান্ত অগ্রাধিকার তালিকাপ্রস্তুত করা হইবে এবং উহা পরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করিতে হইবেঃ
তবেশর্ত থাকে যে, কোনরূপ অনিয়ম প্রমাণিত না হইলে পরিষদ ওয়ার্ড সভা কতৃর্কপ্রস্তুতকৃত ও প্রেরিত অগ্রাধিকার তালিকা পরিবর্তন করিতে পারিবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ওয়ার্ড সভার দায়িত্ব | | ৭। (১) ওয়ার্ড সভা নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করিবে,যথাঃ -
(ক) ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণমুখী কাযর্ক্রমের অগ্রগতি ও অন্যান্য তথ্যাদি সরবরাহ;
(খ)কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, যুব উন্নয়ন, ইত্যাদি বিষয়ক উন্নয়নকর্মকান্ডে অংশগ্রহণ;
(গ) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অত্যাবশ্যকীয় আর্থ-সামাজিক উপাত্ত সংগ্রহ;
(ঘ) বৃক্ষ রোপণ ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখা;
(ঙ)নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও এসিডনিক্ষেপ নিরোধ কাযর্ক্রম, দুনীর্তিসহ অন্যান্য সামাজিক অপকর্মের বিরূদ্ধেজনসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(চ) ওয়ার্ডের আইন-শৃংখলা রক্ষাসহ সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা;
(ছ) জনগণকে কর, ফি, রেইট, ইত্যাদিসহ বিভিন্ন প্রকার ঋণ পরিশোধের জন্য উদ্বুদ্ধ করা;
(জ) স্থানীয় সম্পদের সংগ্রহ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পরিষদের সম্পদের উন্নয়নে সহায়তা করা;
(ঝ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক ও অন্যান্য সমাজগঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং সংগঠন তৈরীতে সহায়তা;
(ঞ) মহামারী ও প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ।
(২) ওয়ার্ড সভার কাযাবর্লী ও দায়িত্ব সম্পর্কে পরিষদকে রিপোর্ট প্রদান।
(৩)ধারা ৬ ও উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব ছাড়াও ওয়ার্ড সভা ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ সভা আহবানের জন্য পরিষদকে অনুরোধ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | তৃতীয় অধ্যায় পরিষদ | |
| | |
ইউনিয়নকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা | | ৮। এই আইনের অধীন ঘোষিত প্রত্যেকটি ইউনিয়নকে, সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদের সহিত পঠিতব্য ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে এতদ্বারা প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক একাংশ বলিয়া ঘোষণা করা হইল। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ সৃষ্টি | | ৯।(১) এই আইন বলবৎ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমানসকল ইউনিয়ন পরিষদ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাবে গঠিত হইয়াছেবলিয়া গণ্য হইবে।
(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহারস্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধিসাপেৰে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সমপত্তি অর্জন করিবার, অধিকারেরাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নামে মামলা দায়েরকরিতে পারিবে অথবা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
(৩) পরিষদ এই আইন দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা, কার্যাবলী এবং দায়িত্ব পালন করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ গঠন | | ১০। (১) ইউনিয়ন পরিষদ ১ (এক) জন চেয়ারম্যান ও ১২ (বার) জন সদস্য লইয়া গঠিত হইবে যাহাদের ৯ (নয়) জন সাধারণ আসনের সদস্য ও ৩ (তিন) জন সংরৰিত আসনের সদস্য হইবেন।
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেৰে, চেয়ারম্যান ও সাধারণ আসনের সদস্যগণ এই আইন ও বিধি অনুসারে প্রত্যৰ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(৩)প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ৩(তিন)টি আসন সংরৰিতথাকিবে, যাহা সংরৰিত আসন বলিয়া অভিহিত হইবে এবং উক্ত সংরৰিত আসনের সদস্যগণওএই আইন ও বিধি অনুসারে প্রত্যৰ ভোটে নির্বাচিত হইবেন :
তবে শর্তথাকে যে, উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে ৯(নয়)টি সাধারণ আসনের সদস্যনির্বাচনে মহিলা প্রাথর্ীদের সরাসরি অংশগ্রহণকে বারিত করিবে না।
(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্ত পরিষদের একজন সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৫) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কতর্ৃক নির্ধারিত সম্মানী পাইবেন।
(৬) এই আইনের অধীনে গঠিত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাম সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবে।
(৭) সরকার ইউনিয়নে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ৰমতা প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ইউনিয়ন গঠন | | ১১। (১) ডেপুটি কমিশনার, সরকারি গেজেটেপ্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে কতকগুলি গ্রাম বা সংলগ্ন মৌজা বাগ্রামের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্ড এবং ৯ (নয়) টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে একটি ইউনিয়নঘোষণা করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত ইউনিয়ন ডেপুটি কমিশনার কতৃর্ক নির্ধারিত নামে অভিহিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের নামকরণ কোন ব্যক্তির নামে হইবে না।
(৩)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়নের ওয়ার্ডসমূহের ক্রমিকনম্বর এবং উক্ত ওয়ার্ডের স্থানীয় সীমানা নির্দিষ্ট করিতে হইবে।
(৪) সরকার প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের লোক সংখ্যা নির্ধারণ করিবে।
(৫) ডেপুটি কমিশনার যেইরূপ অনুসন্ধান করা উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ অনুসন্ধান করিয়া পরিষদ গঠন করিবার পর, প্রজ্ঞাপন দ্বারা-
(ক) কোন ওয়ার্ড হইতে যে কোন মৌজা বা গ্রাম বা উহার অংশ বিশেষ বাদ দিতে পারিবেন;
(খ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডকে একাধিক ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে পারিবেন; অথবা
(গ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড এবং উহার সংলগ্ন এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করিয়া একটি ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পুনর্গঠন করিতে পারিবেন :
তবেশর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন ইউনিয়ন পরিষদ উহার এলাকাভুক্ত এবংবাতিলকৃত কোন ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব না থাকিবার কারণে উক্ত পরিষদ গঠনেরবৈধতা ৰুণ্ন হইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ | | ১২। (১) উপজেলা নিবার্হী অফিসার ওয়ার্ডেরসীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরমধ্য হইতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ওসহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তার অধীনে কায সম্পাদন করিবেন । | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ | | ১৩। (১) ওয়ার্ডসমূহের সীমানা নির্ধারণেরক্ষেত্রে এলাকার ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বিন্যাস ও প্রশাসনিকসুবিধাদির প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে১[ ***]।
(২) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ওয়ার্ডসমূহের সীমানানির্ধারণের উদ্দেশ্যে যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ রেকর্ডপত্র পরীক্ষা, তদন্ত এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনা করিতেপারিবেন এবং প্রস্তাবিত কোন্ এলাকা কোন্ ওয়ার্ডের অন্তভুর্ক্ত হইবে উহাউল্লেখ করিয়া ওয়ার্ডসমূহের একটি প্রাথমিক তালিকা তাহার দফতর, বিভিন্নস্তরভুক্ত পরিষদ কাযার্লয় ও তিনি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপঅন্যান্য উম্মুক্ত স্থানে প্রকাশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনপ্রাথমিক তালিকা প্রকাশের ১৫ (পনের) কায দিবসের মধ্যে তৎসম্পর্কে আপত্তি ওপরামর্শ দাখিল করিবার আহবান সম্বলিত নোটিশ তাহার দফতর, বিভিন্ন স্তরভুক্তপরিষদ কাযার্লয় ও তিনি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্যউম্মুক্ত স্থানে প্রকাশ করিবেন।
(৪) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তাউপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ উপজেলা নিবার্হী অফিসারেরনিকট প্রেরণ করিবেন; উপজেলা নিবার্হী অফিসার উক্তরূপ আপত্তি বা পরামর্শপ্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ১৫ (পনের) কায দিবসের মধ্যে যেরূপ উপযুক্ত মনেকরিবেন সেইরূপ তদন্তের পর তাহার সিদ্ধান্ত সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তাকেজানাইবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার কতৃর্কপ্রদত্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) এর অধীনপ্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিবেন।
(৬)সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদলকরিবার পর, তাহার দফতরে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কাযার্লয়ে এবং তাহারবিবেচনানুসারে অন্য কোন স্থানে ওয়ার্ডসমূহের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করিবেনযাহাতে প্রতি ওয়ার্ডে অন্তভুর্ক্ত এলাকাসমূহ নির্দেশ করিতে হইবে।
(৭)উপ-ধারা (৬) এর অধীন প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাব্যক্তিবর্গ লিখিতভাবে ১০ (দশ) কায দিবসের মধ্যে ডেপুটি কমিশনারের নিকটআপিল দায়ের করিতে পারিবেন; ডেপুটি কমিশনার আপিলকারী ব্যক্তি বাব্যক্তিবর্গকে শুনানির সুযোগ দিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সিদ্ধান্ত এবংসংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও তথ্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া আপিল দায়েরের ৩০ (ত্রিশ) কায দিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং আপিল কতৃর্পক্ষহিসেবে ডেপুটি কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৮)উপ-ধারা (৭) এর অধীন আপিল কতৃর্পক্ষের সিদ্ধান্তের পর সীমানা নির্ধারণকর্মকর্তা ওয়ার্ডের সীমানার প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিয়াঅথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপীল দায়ের করা না হইয়া থাকিলে সীমানা নির্ধারণকর্মকর্তা প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তভুর্ক্ত এলাকাসমূহ উল্লেখ করিয়াওয়ার্ডসমূহের চূড়ান্ত তালিকা তাঁহার দফতরে, পরিষদের কাযার্লয় ও তাঁহারবিবেচনানুসারে অন্য কোন প্রকাশ্য স্থান বা স্থানসমূহে প্রকাশ করিবেন এবংতিনি উক্ত তালিকার সত্যায়িত কপি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণকরিবেন এবং তিনি উহা সরকারি গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন।
(৯)সংরক্ষিত আসনের সদস্য নিবার্চনের উদ্দেশ্যে, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এইধারার অধীন কোন ইউনিয়নকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্তিকরণের সাথে সাথে, এই ধারার বিধানাবলী যথাসম্ভব অনুসরণ করিয়া, উক্ত ওয়ার্ডসমুহকে এইরূপসমন্বিত ওয়ার্ডরূপে চিহ্নিত করিবেন যেন এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডের সংখ্যাসংরক্ষিত আসন সংখ্যার সমান হয়। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের এলাকা রদবদলের ফল | | ১৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন পরিষদ হইতেকোন একটি এলাকা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হইলে উক্তপ্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে উহা উক্ত পরিষদের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্র এবং সরকারযদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকে তাহা হইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎ নিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীন থাকিবে না।
(২) এই আইনের বিধানঅনুযায়ী কোন একটি এলাকা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্য কোন পরিষদেরঅন্তভুর্ক্ত করা হইলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে উহা উক্ত পরিষদেরপ্রশাসনিক অধিক্ষেত্র এবং সরকার যদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকে তাহাহইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎ নিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীন থাকিবে।
(৩)এই আইনেরবিধান অনুযায়ী কোন একটি পরিষদের এলাকাকে দুই বা ততোধিক পরিষদেবিভক্ত করা হইলে উক্ত এলাকাসমূহকে পৃথক পৃথক পরিষদ হিসাবে পুনর্গঠিত করিতেহইবে এবং অনুরূপভাবে বিভক্ত পরিষদ নবগঠিত পরিষদের অন্তভুর্ক্ত হওয়ার তারিখহইতে আর বিদ্যমান থাকিবে না।
(৪) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনএলাকাকে কোন পরিষদের সঙ্গে একীভূত করা হইলে অথবা দুই বা ততোধিক পরিষদকেএকটি মাত্র পরিষদ গঠনের জন্য একীভূত করা হইলে উক্তরূপ পুনর্গঠন দ্বারাক্ষতিগ্রস্থ পরিষদ বা পরিষদসমূহের সম্পত্তি, তহবিল, দায়দায়িত্ব, ইত্যাদিনির্ধারিত কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক লিখিত আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ বিভাজন অনুসারে, নির্ধারিত পরিষদ বা পরিষদসমূহে বর্তাইবে এবংউক্তরূপ নির্ধারণ চূড়ান্ত হইবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী প্রদত্তকোন আদেশে উক্তরূপ পুনর্গঠন কাযর্কর করিবার জন্য যেরূপ আবশ্যক হইবে সেইরূপপরিপূরক, আনুষঙ্গিক ও পারিণামিক (Consequential) বিধানাবলী থাকিতে পারিবে; তবে উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী বিভক্তিকরণের পর বা উপ-ধারা (৪) অনুযায়ীএকীভূতকরণের পর, পরিষদ পুনর্গঠনের প্রয়োজনে-
(ক) পূবর্তন পরিষদেরসদস্যগণের পদের মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পযর্ন্ত নবগঠিত পরিষদ বা পরিষদসমূহেসাধারণ নিবার্চন অনুষ্ঠিত করা যাইবে না;
(খ) যে সকল সদস্যের পদেরমেয়াদ অনুত্তীর্ণ থাকিবে সে সকল সদস্য সরকার বা তৎকতৃর্ক ক্ষমতা প্রাপ্তকতৃর্পক্ষের আদেশক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সেই সকল নিবার্চনীএলাকা নিয়া গঠিত (সম্পূর্ণ বা আংশিক) পরিষদের সদস্য হিসাবে ঘোষিত হইবেন; যেসকল নিবার্চনী এলাকা হইতে উক্ত সদস্যগণ পূবের পরিষদসমূহে নিবার্চিতহইয়াছিলেন এবং এইরূপ যে কোন সদস্য তাঁহার পদের মেয়াদের অনুত্তীর্ণ অংশেরজন্য নবগঠিত পরিষদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা অংশ বিশেষ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতে অন্তভুর্ক্তির ফল | | ১৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা ইহার অংশ বিশেষ পৌরসভায় বা সিটি কর্পোরেশনেরূপান্তরিত বা কোন বিদ্যমান পৌরসভায় বা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করিতেপারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ইউনিয়ন বা ইহার অংশবিশেষকেপৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত প্রচলিত আইনে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণকরিতে হইবে:
আরো শর্ত থাকে যে, পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন ঘোষণাসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হইবার পর উক্ত এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থানীয়সরকার প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অনূধব ১ (এক) মাসের মধ্যে উক্তরূপঘোষণার বিরুদ্ধে সরকারের নিকট লিখিত আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবে; উত্থাপিতআপত্তি সম্পর্কে সরকার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে নির্ধারিতপদ্ধতিতে পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণ করিবে।
(২) যদি কোন সময়ে, কোন ইউনিয়ন পরিষদের সমগ্র এলাকাউক্ত সময়ে বলবৎ কোন বিধি অনুযায়ী কোন প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটিকর্পোরেশন বা কোন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রশাসনিক এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহাহইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসেরমধ্যে বা প্রজ্ঞাপনে যেরূপ নির্দিষ্ট হইবে সেইরূপ তারিখ, বা যে তারিখেনবগঠিত সংস্থাটির নিবার্চনসমূহ সম্পন্ন হয় সেই তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহাআগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে আর বিদ্যমান থাকিবে না এবং যে সকল সম্পত্তি, তহবিল ও অন্য পরিসম্পদ উক্ত পরিষদে বর্তাইয়াছিল তৎসমূহ এবং উক্ত পরিষদেরসকল অধিকার ও দায়দায়িত্ব ক্ষেত্রানুযায়ী সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের আদেশানুযায়ীবর্তাইবে ও হস্তান্তরিত হইবে এবং উক্ত পরিষদের অধীনে নিযু্ক্ত ব্যক্তিগণতাহাদের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে ও নিয়োগের শর্তানুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হইলে যেতারিখে উক্ত পরিষদ আর বিদ্যমান থাকিবে না সেই তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাবা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে নিয়োজিত হইয়াছে বলিয়া গণ্যহইবে।
(৩) যদি কোন সময়ে, কোন পরিষদের অংশ বিশেষ উক্ত সময়ে বলবৎ কোনবিধি অনুযায়ী কোন প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা কোনক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রশাসনিক এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহা হইলে উক্তপরিষদের অংশ, উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বাপ্রজ্ঞাপনে যেরূপ নির্দিষ্ট হইবে সেইরূপ তারিখ, বা যে তারিখে নবগঠিতসংস্থাটির নিবার্চনসমূহ সম্পন্ন হয় সেই তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহা আগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; অনুরূপভাবেঅন্তভুর্ক্তকৃত পরিষদের অংশ বিশেষের সকল সম্পত্তি, তহবিল ও অন্য পরিসম্পদএবং উক্ত পরিষদের সকল অধিকার ও দায়দায়িত্ব ক্ষেত্রানুযায়ী সংশ্লিষ্টপৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট সংশ্লিষ্টকতৃর্পক্ষের আদেশানুযায়ী বর্তাইবে ও হস্তান্তরিত হইবে এবং সরকার অন্যরূপনির্দেশ না দিলে, ক্ষেত্রানুযায়ী, উক্ত পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বাক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধিক্ষেত্রাধীন (Jurisdiction) এলাকার জন্য বলবৎ সকলনিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপন উক্ত পরিষদ এলাকার যে অংশ উক্তরূপেঅন্তভুর্ক্ত হয় সেই অংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পৌরসভা, ইত্যাদির সমগ্র বা আংশিক এলাকা নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠন | | ১৬। পৌরসভা, ইত্যাদির সমগ্র বা আংশিক এলাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠন।- (১) যদি সরকার মনে করে যে, কোন পৌরসভা বা সিটিকর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সমগ্র এলাকা বা উহার কোন অংশ বিশেষেররূপরেখা পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে এবং উহার অধীনে এক বা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদগঠন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্তপ্রজ্ঞাপনের প্রাক-প্রকাশনার পর-
(ক) উক্তরূপ এলাকাকে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করিয়া কোন বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত করিতে পারিবে; বা
(খ) উক্তরূপ এলাকায় এক বা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করিতে পারিবেঃ
তবেশর্ত থাকে যে, উক্ত প্রাক-প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি গণ-বিজ্ঞপ্তি আকারে অন্ততঃদুইটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় (স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত একটিপত্রিকাসহ) এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিস ওস্থানসমূহে প্রকাশ করিতে হইবে, যাহাতে উক্ত প্রকাশনার তারিখ হইতে দুই মাসেরমধ্যে আপত্তি উত্থাপনের আহবান জানানো হইবে এবং সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত কোনকতৃর্পক্ষ আপত্তি উত্থাপনকারী বা উত্থাপনকারীদের শুনানির সুযোগ দিয়াপ্রাপ্ত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশনার তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনেরমধ্যে প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিতকরিতে হইবে এবং উক্তরূপ নিবার্চন সমাপ্তির তারিখ হইতে, উক্তরূপ এলাকা, ক্ষেত্রানুযায়ী, উক্তরূপে নির্দিষ্ট বা গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্তবলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্তরূপে প্রজ্ঞাপিত এলাকার পৌরসভা বা সিটিকর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অংশ হিসেবে আর বিদ্যমান থাকিবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত এলাকা যে তারিখ হইতে ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত করা হয় সেই তারিখ হইতে -
(ক)সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের যে এলাকাউক্তরূপে অন্তভুর্ক্ত হয় সেই এলাকা সম্পর্কিত সম্পত্তি, তহবিল ও দায়দায়িত্বসংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক যেরূপ নির্ধারিত হইবে সেইরূপ বিভাজন অনুসারেইউনিয়ন পরিষদে বর্তাইবে ও উহার নিকট হস্তান্তরিত হইবে; এবং
(খ)উক্তরূপে অন্তভুর্ক্ত এলাকা সম্পর্কিত ব্যক্তিগণের মধ্যে যাহারা পৌরসভা বাসিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কতৃর্ক নিয়োজিত, তাহারা সংশ্লিষ্টইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত থাকিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে নির্ধারিত বিধিঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত বলিয়া গণ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, ইত্যাদি কারণে পরিষদ পুনর্গঠন | | ১৭। কোন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত সম্পূর্ণ এলাকা বাআংশিক অংশ নদী ভাঙ্গন অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে বিলীন বাবিলুপ্ত হইয়া গেলে সরকার, উক্ত পরিষদ বিধি অনুযায়ী বাতিল বা পুনর্গঠন করিবেএবং পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে নতুন পরিষদ গঠন না হওয়া পযর্ন্ত বিদ্যমান পরিষদএই আইনের বিধান অনুযায়ী সকল কাযর্ক্রম পরিচালনা করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
প্রশাসক নিয়োগ | | ১৮। (১) কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর ইহারকার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসাবেনিয়োগ করিবে এবং এই আইনের বিধান মোতাবেক নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়াপর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের অধিক সময় কাল দায়িত্বে থাকিতে পারিবেন না :
আরোশর্ত থাকে যে, কোন দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই আইনের বিধান মোতাবেকনির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হইলে সরকার উক্ত মেয়াদ অনধিক ৬০ (ষাঁট)দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(২) সরকার প্রশাসককে কর্মসম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(৩) প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ, যথাক্রমে, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | চতুর্থ অধ্যায় চেয়ারম্যান ও সদস্য নিবার্চন | |
| | |
ভোটার তালিকা ও ভোটাধিকার | | ১৯। (১) প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকিবে।
(২) কোন ব্যক্তি কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হইবেন, যদি তিনি-
(ক) বাংলাদেশের একজন নাগরিক হন;
(খ) আঠারো বৎসরের কম বয়স্ক নহেন;
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত নহেন;
(ঘ) সংশিষ্ট ওয়ার্ডের অধিবাসী বা অধিবাসী বলিয়া গণ্য হন।
(৩)কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকায় যে ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হইবেন, তিনি সেইওয়ার্ডের সদস্য এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নির্বাচন পরিচালনা, ইত্যাদি | | ২০। (১) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত বিধিঅনুসারে নির্বাচন কমিশন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচনের আয়োজন, পরিচালনা ও সমপাদন করিবে এবং অনুরূপ বিধিতে নির্বাচন কমিশন নিম্নরূপ সকল বাযে কোন বিষয়ের বিধান করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) নির্বাচন পরিচালনারজন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ওপোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;
(খ) প্রার্থীদের মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়নপত্র বাছাই;
(গ) প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত জামানত গ্রহণ এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা বাজেয়াপ্তকরণ;
(ঘ) প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ;
(ঙ) প্রার্থীদের এজেন্ট নিয়োগ;
(চ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;
(ছ) ভোট গ্রহণের তারিখ, সময়, স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;
(জ) ভোটদান পদ্ধতি;
(ঝ) প্রাপ্ত ভোট বাছাই ও গণনা, ফলাফল ঘোষণা এবং সমান সংখ্যক ভোট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি;
(ঞ) ব্যালট পেপার ও নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলি বন্টন;
(ট) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;
(ঠ) প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় এবং এতদসংক্রান্তযাবতীয় বিষয়;
(ড)নির্বাচনে দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ এবং অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধএবং উহার দন্ড এবং প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আচরণ ও আচরণ বিধি ভংগেরদন্ড;
(ঢ) নির্বাচনী বিরোধ এবং উহার বিচার ও নিষপত্তি;
(ণ) অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ, মামলার মেয়াদ সংক্রান্তবিষয়াদি;
(ত) ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন সংক্রানত্দ দায়িত্ব পালনরত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা; এবং
(থ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।
(২) কোন ব্যক্তি, উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) এ উলিস্নখিত-
(ক)নির্বাচনে দূর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ করিলে তিনি অনূ্যন ৩ (তিন) বৎসরকারাদন্ড অথবা অনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিতহইবেন;
(খ) নির্বাচনী অপরাধ করিলে তিনি অনূ্যন ৬ (ছয়) মাস এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড দন্ডিত হইবেন; এবং
(গ)আচরণ বিধির কোন বিধান লংঘন করিলে তিনি অনূ্যন ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড অথবাঅনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিবার্চনী ফলাফল প্রকাশ | | ২১।চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসাবে নিবার্চিত সকল ব্যক্তির নাম নিবার্চন কমিশন, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | পঞ্চম অধ্যায় নিবার্চনী বিরোধ | |
| | |
নিবার্চনী দরখাস্ত দাখিল | | ২২। (১) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নিবার্চনবা গৃহীত নিবার্চনী কাযর্ক্রম বিষয়ে নিবার্চন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোনআদালত বা অন্য কোন কতৃর্পক্ষের নিকট আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(২)কোন নিবার্চনের প্রাথী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত নিবার্চন বানিবার্চনী কাযর্ক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করিয়ানিবার্চন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করিতে পারিবেন না।
(৩) এই আইনের ধারা ২৩ এর অধীন গঠিত নিবার্চন ট্রাইব্যুনালের বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবার্চনী অভিযোগপত্র পেশ করিতে হইবে।
(৪) কোন আদালত -
(ক) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের নিবার্চন মুলতবী রাখিতে;
খ) এই আইন অনুযায়ী নিবার্চিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার দায়িত্ব গ্রহণে বিরত রাখিতে ;
(গ) এই আইন অনুযায়ী নিবার্চিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার কাযার্লয়ে প্রবেশ করা হইতে বিরত রাখিতে-
নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিবার্চন ট্রাইব্যুনাল ও নিবার্চন আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন | | ২৩। (১) এই আইনের অধীনে নির্বাচন সম্পর্কিতবিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনেরদ্বারা, একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়েপ্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং একজন উপযুক্ত পদমর্যাদারবিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার নির্বাহী বিভাগেরকর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনী আপিল ট্রাইবু্যনাল গঠনকরিবে।
(২) কোন সংৰুদ্ধ ব্যক্তি নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্য বাসদস্যগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যেনির্বাচনী ট্রাইবুনালে নির্বাচনী দরখাস্ত দায়ের করিতে পারিবেন।
(৩)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী গঠিত ট্রাইবুন্যাল পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনদরখাস্ত, উহা দায়ের করিবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।
(৪)নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ৩০ (ত্রিশ)দিনের মধ্যে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের করিবার ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে।
(৬) নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নির্বাচনী দরখাস্ত ও আপিল বদলীকরণের ক্ষমতা | | ২৪।নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা পক্ষগণেরকোন এক পক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে পেশকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে যে কোন পর্যায়েএকটি নির্বাচনী দরখাস্ত এক ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য ট্রাইব্যুনালে অথবাএকটি আপিল ট্রাইব্যুনাল হইতে অপর একটি আপিল ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতেপারিবে এবং যে ট্রাইব্যুনালে বা আপিল ট্রাইব্যুনালে তাহা এইরূপ বদলী করা হয়সেই ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাস্ত বা আপিল যে পর্যায়েবদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচারকার্য চালাইয়া যাইবেঃ
তবেশর্ত থাকে যে, নির্বাচনী দরখাস্ত যে ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেইট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ইতিপূর্বে পরীক্ষিত কোন সাক্ষী পুনরায় তলববা পুনরায় পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে আপিল ট্রাইব্যুনালও এইক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিবার্চনী দরখাস্ত, আপিল, ইত্যাদি নিষ্পত্তি | | ২৫। নিবার্চনী দরখাস্ত ও আপিল দায়েরের পদ্ধতি, নিবার্চনী ট্রাইব্যুনাল ও নিবার্চনী আপিল ট্রাইব্যুনাল কতৃর্ক নিবার্চনবিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি, এখতিয়ার, ক্ষমতা, প্রতিকার এবং আনুষঙ্গিক সকলবিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | ষষ্ঠ অধ্যায় যোগ্যতা ও অযোগ্যতা | |
| | |
পরিষদের সদস্যগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা | | ২৬। (১) কোন ব্যক্তি এই ধারার উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন, যদি-
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;
(খ) তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হয়;
(গ) চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের যে কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাঁহার নাম লিপিবদ্ধ থাকে;
(ঘ) সংরৰিত মহিলা আসনের সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাঁহার নাম লিপিবদ্ধ থাকে।
(২) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;
(খ) তাঁহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(গ) তিনি কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(ঘ)তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অনূ্যন ২ (দুই) বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ)বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
(ঙ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন;
(চ) তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন;
(ছ)তিনি বা তাঁহার পরিবারের উপর নির্ভরশীল কোন সদস্য সংশিস্নষ্ট পরিষদের কোনকাজ সমপাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা ইহার জন্য নিযুক্তঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁহারকোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যককোন দ্রব্যের ডিলার হন;
(জ) মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তারিখে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখেন :
তবেশর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত নিজস্ব বসবাসেরনিমিত্ত গৃহ-নির্মাণ অথবা ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ইহার আওতাভুক্ত হইবে না ;
(ঝ) তাঁহার নিকট পরিষদ হইতে গৃহীত কোন ঋণ অনাদায়ী থাকে বা পরিষদের নিকট তাঁহার কোন আর্থিক দায়-দেনা থাকে;
(ঞ)তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ কিংবা সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদনঅনুযায়ী পরিশোধের জন্য নির্ধারিত অর্থ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার পরিষদকেপরিশোধ না করেন;
(ট) তিনি পরিষদের তহবিল তসরূফের কারণে দন্ডপ্রাপ্ত হন;
(ঠ)তিনি এই আইনে বর্ণিত অপরাধে অথবা নির্বাচনী অপরাধ সংক্রান্ত অপরাধেসংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যুন ২(দুই) বৎসর কারাদন্ডেদন্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়াথাকে;
(ড) তিনি কোন সরকারি বা আধাসরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিতসংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সমবায় সমিতি ইত্যাদি হইতে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি. অসদাচরণ ইত্যাদি অপরাধে চাকুরিচ্যুত হইয়া ৫ (পাঁচ) বৎসরঅতিক্রান্ত না করেন;
(ঢ) তিনি বিগত পাঁচ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে দন্ডবিধির ধারা ১৮৯ ও ১৯২ এর অধীন দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হন;
(ণ) তিনি বিগত পাঁচ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে দন্ডবিধির ধারা ২১৩, ৩৩২, ৩৩৩ ও ৩৫৩ এর অধীন দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হন;
(ত) তিনি কোন আদালত কর্তৃক ফেরারী আসামী হিসাবে ঘোষিত হন;
(থ) জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত বা ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসাবে দোষী সাব্যস্ত হন।
(৩)প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় এই মর্মেএকটি হলফনামা দাখিল করিবেন যে, উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তিনি চেয়ারম্যান বাসদস্য নির্বাচনের অযোগ্য নহেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
একাধিক পদে প্রার্থীতায় বাঁধা | | ২৭। (১) কোন ব্যক্তি একই সাথে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রার্থী হইতে পারিবেন না ।
(২) যদি কোন ব্যক্তি একই সাথে কোন পরিষদের একাধিক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তাহা হইলে, তাহার সকল মনোনয়নপত্র বাতিল হইবে।
(৩) পরিষদের মেয়াদকালে কোন কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হইলে, কোন সদস্য চেয়ারম্যান পদে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সদস্যকে স্বীয় পদ ত্যাগ করিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে হইবে।
(৪) কোন ব্যক্তি একই সংগে যে কোন স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন না। | |
| | |
| |
| | |
| | সপ্তম অধ্যায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সম্পর্কিত বিধান | |
| | |
পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের শপথ বা ঘোষণা | | ২৮। (১) চেয়ারম্যান ও প্রত্যেক সদস্য তাঁহারকার্যভার গ্রহণের পূর্বে প্রথম তফসিলে উল্লিখিত ফরমে সরকার কর্তৃকনির্ধারিত কোন ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা প্রদান করিবেন এবংশপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাৰরদান করিবেন।
(২) চেয়ারম্যান বা সদস্যহিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার ৩০ (ত্রিশ)দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান ও সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বাতদ্কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের কাযর্কাল | | ২৯। (১) কোন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, এইআইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখহইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর সময়ের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।
(২)চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ হইতেপরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিতহইতে হইবে ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবগঠিতপরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত না হইলে সরকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সভাআহ্বানের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে অনুষ্ঠিত সভাপরিষদের প্রথম সভা হিসাবে গণ্য হইবে।
(৩) পরিষদ গঠনের জন্য কোনসাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনেরতারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ হইবার ১৮০ (এক শত আশি) দিনের মধ্যেঅনুষ্ঠিত হইবে।
(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইউনিয়নপরিষদের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের পর উহার তিন-চতুর্থাংশ সদস্য শপথ গ্রহণকরিলে ইউনিয়নটি যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যাঃগঠিত পরিষদের মোট সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভগ্নাংশেরউদ্ভব হইলে এবং তাহা দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশের কম হইলে অগ্রাহ্য করিতে হইবেএবং দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশ বা তার বেশী হইলে তাহা এক বলিয়া গণ্য করিতেহইবে।
(৫) দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোন কারণে নির্ধারিত ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে, সরকার লিখিতআদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনপর্যন্ত, যাহা আগে ঘটিবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্যক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
দায়িত্ব হস্তান্তর | | ৩০। পরিষদ গঠনের পর পূববর্তী চেয়ারম্যান বাপ্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য তাঁহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকাপরিষদের সকল নগদ অর্থ, পরিসম্পদ, দলিল দস্তাবেজ, রেজিষ্টার ও সীলমোহরযতশীঘ্র সম্ভব অথবা উপজেলা নিবার্হী অফিসার কতৃর্ক স্থিরীকৃত তারিখ, সময় ওস্থানে নতুন নিবার্চিত চেয়ারম্যান বা, ক্ষেত্রমত, মনোনীত প্যানেলচেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যের নিকট পরিষদের সচিব ওউপজেলা নিবার্হী অফিসারের মনোনীত একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার উপস্থিতিতেবুঝাইয়া দিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ব্যত্যয়ের দণ্ড | | ৩১। (১) যদি কোন চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানেরদায়িত্ব প্রাপ্ত কোন সদস্য ধারা ৩০ অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা পযর্ন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।
(২) কোনচেয়ারম্যান বা সদস্য ধারা ২৬ (৩) অনুযায়ী তাহার অযোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যাহলফনামা দাখিল করিলে তিনি তিন বৎসর পযর্ন্ত মেয়াদে কারাদণ্ড অথবা ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের পদত্যাগ | | ৩২। (১) কোন সদস্য পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরতাহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতেপারিবেন এবং উক্তরূপ পদত্যাগ পত্র চেয়ারম্যান কতৃর্ক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথেউক্ত সদস্যের পদ শুন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টসদস্যের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়টি অনধিক ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উপজেলানিবার্হী অফিসারকে অবহিত করিবেন।
(২) চেয়ারম্যান এতদুদ্দেশ্যেউপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট, তাহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবেব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং উক্ত পদত্যাগ পত্র গৃহীত হওয়ারসাথে সাথে উক্ত চেয়ারম্যানের পদ শুন্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২)এর অধীন পদত্যাগের বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনধিক ৭ (সাত) দিনেরমধ্যে পরিষদ, নিবার্চন কমিশন এবং সরকারকে অবহিত করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যানের প্যানেল | | ৩৩। (১) পরিষদ গঠিত হইবার পর প্রথম অনুষ্ঠিতসভার ৩০ (ত্রিশ) কাযদিবসের মধ্যে অগ্রাধিকারক্রমে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটিচেয়ারম্যানের প্যানেল, সদস্যগণ তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে নিবার্চন করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নিবার্চিত তিনজন চেয়ারম্যান প্যানেলের মধ্যেকমপক্ষে একজন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যগণের মধ্য হইতে নিবার্চিত হইবেন।
(২)অনুপস্থিতি, অসুস্থতাহেতু বা অন্য যে কোন কারণে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনেঅসমর্থ হইলে তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পযর্ন্তচেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে অগ্রাধিকারক্রমে একজন সদস্য চেয়ারম্যানেরদায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) পদত্যাগ, অপসারণ, মৃত্যুজনিত অথবা অন্যযে কোন কারণে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে নিবার্চিত নতুন চেয়ারম্যানকাযর্ভার গ্রহণ না করা পযর্ন্ত চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে অগ্রাধিকারক্রমেএকজন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৪) এই আইনের বিধানঅনুযায়ী চেয়ারম্যানের প্যানেলভুক্ত সদস্যগণ অযোগ্য হইলে অথবা ব্যক্তিগতকারণে দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে নতুনচেয়ারম্যানের প্যানেল তৈরী করা যাইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) ও (৪)অনুযায়ী সদস্যদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যানের প্যানেল প্রস্তুত করা না হইলে, সরকার প্রয়োজন অনুসারে, সদস্যগণের মধ্য হইতে চেয়ারম্যানের প্যানেল তৈরিকরিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ | | ৩৪। (১) যে ৰেত্রে কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বাসদস্যের বিরুদ্ধে উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত অপরাধে অপসারণের জন্য কার্যক্রমআরম্ভ করা হইয়াছে অথবা তাঁহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালতকর্তৃক গৃহীত হইয়াছে অথবা অপরাধ আদালত কর্তৃক আমলে নেওয়া হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপৰের মতে চেয়ারম্যান অথবা সদস্য কর্তৃক ক্ষমতাপ্রয়োগ পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নাহইলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান অথবা সদস্যকে সাময়িকভাবেবরখাস্ত করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে সাময়িকভাবেবরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে আদেশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) দিনের মধ্যেসংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ধারা ৩৩ এর বিধানমতে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানেরনিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন এবং উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সাময়িকবরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবাচেয়ারম্যান অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়াপর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে পরিষদেরকোন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত সদস্যেরবিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা উক্ত সদস্য অপসারিত হইলেতাঁহার স্থলে নতুন সদস্য নির্বাচিত না হওয়া পর্যনত্দ পরিষদেরসিদ্ধান্তক্রমে অপর একজন সদস্য উক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৪) চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি, তিনি-
(ক) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;
(খ)পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন, অথবাদুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়াদন্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন;
(গ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;
(ঘ)অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বাসমপত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা উহার আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন;
(ঙ) এই আইনের ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী নির্বাচনের অযোগ্য ছিলেন বলিয়া নির্বাচনের পর যদি প্রমাণিত হয়;
(চ) বার্ষিক ১২ (বার) টি মাসিক সভার স্থলে ন্যূনতম ৯ (নয়) টি সভা গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হন;
(ছ) নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল না করেন কিংবা দাখিলকৃত হিসাবে অসত্য তথ্য প্রদান করেন; অথবা
(জ) বিনা অনুমতিতে দেশ ত্যাগ করেন অথবা অনুমতিক্রমে দেশ ত্যাগের পর সেখানে অননুমোদিতভাবে অবস্থান করেন।
ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারায় 'অসদাচরণ' বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছাকৃত কুশাসনও বুঝাইবে।
(৫)সরকার বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত এক বা একাধিক কারণে চেয়ারম্যান বা সদস্যকে অপসারণকরিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরিবার পূর্বে বিধি মোতাবেক তদন্ত করিতে হইবে ও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষসমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে।
(৬) কোন চেয়ারম্যান বা সদস্য এরঅপসারণের প্রস্তাব, সরকার বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃকঅনুমোদন লাভের পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অপসারিত হইবেন।
(৭) পরিষদেরকোন চেয়ারম্যান বা সদস্যকে উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করাহইলে তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত আদেশের তারিখ হইতে৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল কর্তৃপক্ষ উক্তআপিলটি নিষপত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপসারণ আদেশটি স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবংআপিলকারীকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দানের পর উক্ত আদেশটি পরিবর্তন, বাতিলবা বহাল রাখিতে পারিবেন।
(৮) আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপ-ধারা (৭) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৯)এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ীঅপসারিত কোন ব্যক্তি কোন পদে সংশিস্নষ্ট পরিষদের কার্যকালের অবশিষ্টমেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যান বা সদস্য পদ শূন্য হওয়া | | ৩৫। (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তিনি ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার অযোগ্য হইয়া পড়েন;
(খ) তিনি ধারা ৩৪ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন বা অপসারিত হন;
(গ) তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধারা ২৮ (১) এ বর্ণিত শপথ গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হন;
(ঘ) তিনি ধারা ৩২ এর অধীন পদত্যাগ করেন;
(ঙ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন; অথবা
(চ) ধারা ৩৯ অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
(২)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইলে উপজেলানির্বাহী অফিসার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করিয়া পদটি শূন্য ঘোষণা করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
শূন্য পদ পূরণ | | ৩৬। যদি কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদতাঁহার মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণ বা অন্যবিধ কারণে তাঁহার মেয়াদ পূর্তিরকমপক্ষে ১৮০ (একশত আশি) দিন পূর্বে শূন্য হয়, তাহা হইলে, উক্ত শূন্যতারতারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের জন্য শূন্য পদে নির্বাচনঅনুষ্ঠান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, দৈব দুর্বিপাক জনিত কারণেনির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য সুবিধাজনকতারিখ নির্ধারণ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সদস্যপদ পুনর্বহাল | | ৩৭। পরিষদের কোন নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্যএই আইনের বিধান অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা অপসারিত হইয়া অথবা অযোগ্যঘোষিত হইয়া সদস্যপদ হারাইবার পর আপিলে তাঁহার উক্তরূপ সাময়িক বরখাস্ত আদেশবা অপসারণ আদেশ রদ বা বাতিল বা প্রত্যাহার হইলে বা তাঁহার অযোগ্যতা অবলোপনহইলে, তাহার সদস্যপদ পুনর্বহাল হইবে এবং তিনি অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বপদেবহাল হইবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের অধিকার ও দায়বদ্ধতা | | ৩৮। (১) পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রত্যেক সদস্যেরএই আইন ও সংশিস্নষ্ট বিধানাবলী সাপেক্ষে পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার থাকিবে।
(২) পরিষদের প্রত্যেক সদস্যনির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিরসভাপতির নিকট পরিষদের বা স্থায়ী কমিটির প্রশাসনিক এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েপ্রশ্ন উত্থাপন বা কৈফিয়ৎ দাবী করিতে পারিবেন।
(৩) পরিষদেরচেয়ারম্যানের নিকট নোটিশ প্রদান করিয়া পরিষদের যে কোন সদস্য অফিস চলাকালীনসময়ে, গোপনীয় নথিপত্র ব্যতীত, রেকর্ড ও নথিপত্র দেখিতে পারিবেন।
(৪)পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রত্যেক সদস্য পরিষদ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃকবাস্তবায়িত কোন কাজ বা প্রকল্পের ত্রুটি-বিচু্যতি সমপর্কে পরিষদের মনোযোগআকর্ষণ করিতে পারিবেন।
(৫) পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থায়ী কমিটিরসভাপতি এবং সদস্যগণ এই আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে পরিষদের কার্যপরিচালনা করিবেন এবং পরিষদের নিকট যৌথভাবে দায়ী থাকিবেন।
(৬) সংরক্ষিত আসনের সদস্য এবং সাধারন আসনের সদস্যদের দায়িত্ব এবং কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
অনাস্থা প্রস্তাব | | ৩৯।(১) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য বা পরিষদের উপর সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে।
(২)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যেরস্বাক্ষরে লিখিতভাবে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট পরিষদের যে কোন একজনসদস্য ব্যক্তিগতভাবে দাখিল করিবেন।
(৩) অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তিরপর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ১০ (দশ) কাযদিবসের মধ্যে একজন কর্মকর্তা নিয়োগকরিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগসমূহের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ১০ (দশ) কাযর্দিবসের সময় প্রদান করিয়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বা সদস্যকে কারণদর্শানোর নোটিশ দিবেন।
(৪) জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হইলে উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কর্মকর্তা জবাব প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ)কাযর্দিবসের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যে সকল অভিযোগের বর্ণনা করা হয়েছে, সেসকল অভিযোগ তদন্ত করিবেন।
(৫) তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিতহইলে উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কর্মকর্তা অনধিক ১৫ (পনের) কাযর্দিবসেরমধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বা সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকল নিবার্চিত সদস্যেরনিকট সভার নোটিশ প্রেরণ নিশ্চিতকরণপূবর্ক পরিষদের বিশেষ সভা আহবান করিবেন।
(৬)চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্যানেল চেয়ারম্যান (ক্রমানুসারে) এবং কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রেপরিষদের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্য্যগণেরমধ্যে একজন সদস্যকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সভাপতি নিবার্চিত করা যাইবে।
(৭) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কর্মকর্তা সভায় একজন পযবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থাকিবেন।
(৮)উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে আহুত সভাটি নিয়ন্ত্রণ বহিভূর্ত কোন কারণ ছাড়াস্থগিত করা যাইবে না এবং মোট নিবার্চিত সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যসমন্বয়ে সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৯) সভা শুরু হইবার তিন ঘন্টারমধ্যে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হইলে অনাস্থাপ্রস্তাবটির উপর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করিতে হইবে।
(১০)সভার সভাপতি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রকাশ্য মতামতপ্রকাশ করিবেন না তবে তিনি ব্যালটের মাধ্যমে উপ-ধারা (৯) অনুযায়ী ভোটপ্রদান করিতে পরিবেন কিন্তু তিনি নির্ণায়ক বা দ্বিতীয় ভোট দিতে পারিবেন না।
(১১) অনাস্থা প্রস্তাবটি কমপক্ষে ৯ (নয়) জন সদস্য কতৃর্ক ভোটে গৃহীত হইতে হইবে।
(১২)উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কর্মকর্তা সভা শেষ হইবার পর আনুষঙ্গিককাগজপত্র সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের কপি, ব্যালটপেপার, ভোটের ফলাফলসহ সভার কাযবিবরণী প্রস্তুত করিবেন ।
(১৩) সরকার, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে কমিশনের পরামর্শ গ্রহণপূবর্ক, অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন অথবা অননুমোদন করিবে।
(১৪)অনাস্থা প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটে গৃহীত না হইলে অথবা কোরামেরঅভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হইলে উক্ত তারিখের পর ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত না হইলেসংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বা সদস্যের বিরুদ্ধে অনুরূপ কোন অনাস্থা প্রস্তাবআনয়ন করা যাইবে না।
(১৫) পরিষদের চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যেরদায়িত্বভার গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবআনয়ন করা যাইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ছুটি | | ৪০।কোন চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে পরিষদযুক্তিসঙ্গত কারণে এক বৎসরে সবোর্চ্চ ৩ (তিন) মাস ছুটি মঞ্জুর করিতেপারিবে; তবে ৩ (তিন) মাসের অধিক ছুটি প্রয়োজন হইলে সরকারের অনুমোদন গ্রহণকরিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, মহিলা চেয়ারম্যান বা সদস্যের মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি বিধান প্রযোজ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সম্পত্তি সম্পকির্ত ঘোষণা | | ৪১। চেয়ারম্যান ও সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণেরপূর্বে তাঁহার এবং তাঁহার পরিবারের কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থআছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির একটি লিখিত বিবরণ সরকারকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত ব্যক্তির নিকট দাখিল করিবেন।
ব্যাখ্যা।-"পরিবারেরসদস্য" বলিতে চেয়ারম্যান ও সদস্যের স্বামী বা স্ত্রী এবং তাঁহার সংগেবসবাসকারী এবং তাঁহার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তাঁহার ছেলে-মেয়ে, পিতা, মাতা ও ভাই-বোনকে বুঝাইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | অষ্টম অধ্যায় পরিষদের সভা, ক্ষমতা ও কাযাবর্লী | |
| | |
পরিষদের সভা | | ৪২। (১) প্রত্যেক পরিষদ, পরিষদের কাযার্লয়েপ্রতি মাসে ন্যূনতম একটি সভা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং উক্ত সভা অফিসসময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে।
(২) পরিষদের ৫০% সদস্য তলবী সভাআহবানের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অনুরোধ জানাইলে তিনি ১৫ (পনের) দিনেরমধ্যে অনুষ্ঠেয় একটি সভার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করিয়া সভা অনুষ্ঠানেরকমপক্ষে ৭ (সাত) দিন পূবে পরিষদের সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান করিবেন।
(৩)পরিষদের চেয়ারম্যান উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তলবী সভা আহবান করিতে ব্যর্থ হইলেপ্যানেল চেয়ারম্যান (ক্রমানুসারে) ১০ (দশ) দিনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সভা আহবানকরিয়া কমপক্ষে ৭ (সাত) দিন পূবে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণকে নোটিশপ্রদান করিবেন; উক্তরূপ সভা পরিষদের কাযার্লয়ে নির্ধারিত তারিখে অফিসচলাকালীন সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
(৪) তলবী সভা পরিচালনাকালীন সময়েউপজেলা নিবার্হী অফিসার কতৃর্ক নিয়োগকৃত একজন কর্মকর্তাপযবের্ক্ষক হিসেবেউপস্থিত থাকিতে পারিবেন, যিনি উক্তরূপ তলবী সভা পরিচালনা ও সভায় গৃহীতসিদ্ধান্তের বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট একটি লিখিত প্রতিবেদন সভাঅনুষ্ঠানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে দাখিল করিবেন।
(৫) চেয়ারম্যানঅথবা তাঁহার অনুপস্থিতিতে তাঁহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি, প্রয়োজনে, যেকোন সময় পরিষদের বিশেষ সভা আহবান করিতে পারিবেন।
(৬) সদস্যগণের মোটসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হইবে, তবে কোরামের অভাবে কোন সভামুলতবী হইলে মুলতবী সভায় কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
(৭) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, পরিষদের সভায় সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত সদস্যগণের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে।
(৮)প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে এবং ভোটের সমতারক্ষেত্রে সভাপতি একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।
(৯)পরিষদের সভায় চেয়ারম্যান অথবা তাঁহার অনুপস্থিতিতে অগ্রাধিকারেরক্রমানুসারে চেয়ারম্যান প্যানেলের সদস্য অথবা উভয়ের অনুপস্থিতিতে, উপস্থিতসদস্যগণ কতৃর্ক নিবার্চিত কোন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন।
(১০) সরকারকতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কর্মকর্তাগণ পরিষদের আমন্ত্রণে পরিষদের সভায়যোগদান এবং সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তাহাদের ভোটাধিকারথাকিবে না।
(১১) কোন্ প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইয়াছে বা হয় নাই তাহা সভাপতি উক্ত সভায় স্পষ্ট করিয়া জানাইয়া দিবেন।
(১২)সভার আলোচ্যসূচিতে কারিগরি ও গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞের মতামতপ্রয়োজন হইলে পরিষদ উক্ত বিষয় বা বিষয়সমূহের উপর মতামত প্রদানের জন্য এক বাএকাধিক বিশেষজ্ঞকে সভায় আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের সভায় সম্পাদনীয় কার্য তালিকা | | ৪৩। পরিষদের কোন মূলতবী সভা ব্যতীত পরিষদের অন্যপ্রত্যেক সভায় সম্পাদনীয় কাযাবর্লীর একটি তালিকা, উক্তরূপ সভার জন্যনির্ধারিত সময়ের ন্যূনতম ৭ (সাত) দিন পূবে পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের নিকটপ্রেরণ করিতে হইবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদনব্যতীত, উক্তরূপ তালিকা বহির্ভূত কোন বিষয় সভায় আলোচনার জন্য আনীত হইবে নাবা সম্পাদিত হইবে না; তবে, যদি চেয়ারম্যান মনে করেন যে, এইরূপ পরিস্থিতিরউদ্ভব হইয়াছে যাহার জন্য পরিষদের একটি জরুরি সভা আহবান করা সমীচীন, তাহাহইলে, তিনি সদস্যগণকে ৩ (তিন) দিনের নোটিশ প্রদানের পর এইরূপ একটি সভাআহবান করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ সভায় নির্ধারিত আলোচ্যসূচী ব্যতীত অন্যকোন বিষয় আলোচনা করা যাইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের কাযাবর্লী কাযর্ধারায় | | ৪৪। (১) পরিষদের সকল কাযাবর্লী বিধি দ্বারানির্ধারিত সীমার মধ্যে ও পদ্ধতিতে পরিষদের সভায় অথবা স্থায়ী কমিটিসমূহেরসভায় অথবা উহার চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কতৃর্ককাযর্ধারায় হইবে।
(২) কোন পদ শূন্য থাকিলে বা পরিষদের গঠনপ্রক্রিয়ায় কোন ত্রুটি রহিয়াছে কিংবা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত হইবার বাভোটদানে বা অন্য উপায়ে ইহার কাযর্ধারায় অংশগ্রহণে অধিকার না থাকা সত্ত্বেওকোন ব্যক্তি অনুরূপ কায করিয়াছেন কেবল এই কারণে পরিষদের কোন কায বা কাযধারাঅবৈধ হইবে না।
(৩) পরিষদের প্রত্যেক সভার কাযবিবরণী এই উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৪)সভার কাযবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব পরিষদের সকল সিদ্ধান্তউপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিয়া অনুলিপি ডেপুটি কমিশনারেরনিকট প্রেরণ করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
স্থায়ী কমিটি গঠন ও উহার কাযাবর্লী | | ৪৫। (১) ইউনিয়ন পরিষদ উহার কাযাবর্লীসুচারুরূপে সম্পাদন করিবার জন্য পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম সভাঅনুষ্ঠানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির প্রত্যেকটিসম্পর্কে একটি করিয়া স্থায়ী কমিটি গঠন করিবে যাহার মেয়াদ সবোর্চ্চ দুই বৎসরছয় মাস হইবে, যথাঃ-
(ক) অর্থ ও সংস্থাপন;
(খ) হিসাব নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ;
(গ) কর নিরুপন ও আদায়;
(ঘ) শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা;
(ঙ) কৃষি, মৎস্য ও পশু সম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কাজ;
(চ) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ইত্যাদি;
(ছ) আইন-শৃংখলা রক্ষা;
(জ) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন;
(ঝ) স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন;
(ঞ) সমাজকল্যাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা;
(ট) পরিবেশ উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ;
(ঠ) পারিবারিক বিরোধ নিরসন, নারী ও শিশু কল্যাণ (পাবর্ত্য চট্রগ্রামের অধিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হইবে না);
(ড) সংস্কৃতি ও খেলাধুলা।
(২)উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্থায়ী কমিটি ব্যতীত পরিষদ, এই আইনের বিধানসাপেক্ষে, প্রয়োজনে, ডেপুটি কমিশনারের অনুমোদনক্রমে, অতিরিক্ত স্থায়ী কমিটিগঠন করিতে পারিবে।
(৩) স্থায়ী কমিটির সভাপতি কো-অপট সদস্য ব্যতীতপরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে নিবার্চিত হইবেন এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিতআসন হইতে নিবার্চিত সদস্যগণ অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ স্থায়ী কমিটির সভাপতিথাকিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুধুমাত্র আইন শৃংখলা বিষয়ক কমিটির সভাপতি থাকিবেন।
(৪)স্থায়ী কমিটি পাঁচ হইতে সাত সদস্য বিশিষ্ট হইবে এবং কমিটি প্রয়োজনে, সংশিস্নষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোন একজন ব্যক্তিকে কমিটির সদস্য হিসাবে কো-অপটকরিতে পারিবে, তবে কো-অপট সদস্যের কোন ভোটাধিকার থাকিবে না।
(৫)অন্যান্য সদস্যগণ স্থানীয় জনসাধারণের মধ্য হইতে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে অবদানরাখিবার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য হইতে মনোনীত হইবেন।
(৬)স্থায়ী কমিটির সুপারিশ পরিষদের পরবর্তী সভায় বিবেচনার পর গৃহীত হইবে; তবেকোন সুপারিশ ইউনিয়ন পরিষদে গৃহীত না হইলে তাহার যথার্থতা ও কারণ লিখিতভাবেস্থায়ী কমিটিকে জানাইতে হইবে।
(৭) স্থায়ী কমিটির সকল কার্যধারা পরিষদের সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেৰে চূড়ান্ত হইবে।
(৮) নিম্নলিখিত কারণে পরিষদ কোন স্থায়ী কমিটি ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবে, যথা :-
(ক) বিধি মোতাবেক নিয়মিত সভা আহ্বান করিতে না পারিলে;
(খ) নির্ধারিত ৰেত্রে ক্রমাগতভাবে পরিষদকে পরামর্শ প্রদানে ব্যর্থ হইলে; অথবা
(গ) এই আইন বা অন্য কোন আইনের বিধান বহির্ভূত কোন কাজ করিলে।
(৯) প্রত্যেক স্থায়ী কমিটি প্রতি দুইমাস অনত্দর সভায় মিলিত হইবে, তবে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সভা অনুষ্ঠান করিতে পারিবে।
(১০)স্থায়ী কমিটির কার্যাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে, তবে উক্তরূপপ্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের সাধারণ সভায় স্থায়ী কমিটিরকার্যাবলী নিরূপন করা যাইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের নিবার্হী ক্ষমতা | | ৪৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য সাধন এবং পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকল্পে চেয়ারম্যান পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।
(২) এই আইনের অন্যান্য ধারায় বর্ণিত বিষয়সমূহকে ক্ষুণ্ন না করিয়া চেয়ারম্যান নিম্নরূপ দায়িত্বসমূহ পালন করিবেন, যথা :-
(ক) তিনি পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং সভা পরিচালনা করিবেন;
(খ) পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজ কর্ম তদারকী ও নিয়ন্ত্রণ করিবেন এবং তাঁহাদের গোপনীয় প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন;
(গ) সরকার বা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যয় সীমা পর্যন্ত ব্যয় নির্বাহ করিবেন;
(ঘ) তিনি বা পরিষদের সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিষদের সকল আয় ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা করিবেন;
(ঙ) পরিষদের ব্যয় মিটানো এবং পাওনা আদায়ের জন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ক্ষমতা অর্পণ করিবেন;
(চ) এই আইনের অধীন প্রয়োজনীয় সকল বিবরণী ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন;
(ছ) এই আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত অন্যান্য ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩)চেয়ারম্যান, পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে, আইন, অধ্যাদেশ বা বিধি-বিধান এরপরিপন্থী নয়, এইরূপ জনস্বার্থ বা জনগুরম্নত্বপূর্ণ কোন জরম্নরি কাজসমপাদনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন, এবং এই ধরনের কার্য সমপাদনের ব্যয়ভারপরিষদ তহবিল হইতে বহনের নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩)অনুযায়ী গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে চেয়ারম্যান পরিষদের পরবর্তী সভায়প্রতিবেদন উপস্থাপন করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদন পরিষদের সভায় অনুমোদিত হইতেহইবে।
(৫) উপ-ধারা (১), (২),(৩) ও (৪) এ বর্ণিত দায়িত্ব ছাড়াও পরিষদের চেয়ারম্যান নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন, যথা :-
(ক)তিনি পরিষদের সভায় পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ ও অন্যান্যসরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্টকর্মকর্তা বা কর্মচারীগণের উপস্থিতি নিশ্চিতকরিবেন;
(খ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির পরিপন্থী এবং প্রশাসনিকবিশৃঙ্খলার কারণে সচিব এবং হস্তান্তরিত অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ওকর্মচারী ব্যতীত পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য কর্মচারীগণকে প্রয়োজনেযথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া সাময়িক বরখাসত্দ করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, পরিষদের পরবর্তী সাধারণ সভায় উক্তরূপ সাময়িক বরখাস্ত অনুমোদিত হইতে হইবে অন্যথায় উহা কার্যকর হইবে না;
(গ)পরিষদের সচিবের নিকট হইতে পরিষদের প্রশাসনিক বিষয় সংক্রান্ত যে কোনক্লাসিফাইড রেকর্ড বা নথি লিখিতভাবে তলব করিতে এবং আইন ও নির্ধারিতপদ্ধতিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন; তবে তিনি এইরূপ কোন ক্লাসিফাইড রেকর্ডবা নথি তলব করিতে পারিবেন না, যাহা সম্পূর্ণরূপে সচিব বা সংশ্লিষ্টকর্মকর্তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে থাকিবে;
(ঘ) এই আইন বা বিধি, প্রবিধান, ইত্যাদির পরিপন্থী এবং প্রশাসনিক বিশৃংখলা সৃষ্টির কারণে ইউনিয়নপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্যকর্মচারীদের বিরম্নদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে পারিবেন;
(ঙ) তাঁহারবিবেচনায় পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত এই আইন বা অন্য কোন আইন বা বিধি-বিধানেরপরিপন্থী হইলে, অথবা উক্তরূপ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হইলে উহা জনস্বাস্থ্য, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করিবে বলিয়া বিবেচিত হইলে, তিনি উহাসরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৬) পরিষদের নির্বাহী বা অন্য কোনকার্য পরিষদের নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে এবং উহা নির্ধারিতপদ্ধতিতে প্রমাণিকৃত হইতে হইবে।
(৭) পরিষদের দৈনন্দিন সেবাপ্রদানমূলক দায়িত্ব ত্বরান্বিত করিবার লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্বাহীক্ষমতা বিভাজনের প্রস্তাব পরিষদের সভায় অনুমোদিত হইতে হইবে এবং, প্রয়োজনবোধে, সময়ে সময়ে, ইহা সংশোধনের এখতিয়ার পরিষদের থাকিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের কাযাবর্লী | | ৪৭। (১) পরিষদের প্রধান কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
ক) প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়াদি;
(খ) জনশৃংখলা রৰা;
(গ) জনকল্যাণমূলক কার্য সমপর্কিত সেবা; এবং
(ঘ) স্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সমপর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রধান কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করিয়া পরিষদের কার্যাবলী দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত হইল।
(৩)উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহাই থাকুক না কেন, বিশেষ করিয়া, এবং উক্তরূপউপ-ধারাসমূহের সামগ্রিকতাকে ৰুণ্ন না করিয়া, সরকার সংরক্ষিত আসনের মহিলাসদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে। তবে ইউনিয়নপরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের (টি,আর,কাবিখা, থোক বরাদ্দ ও অন্যান্য)সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের এক তৃতীয়াংশ উন্নয়ন প্রকল্প বাসত্দবায়ন কমিটিরচেয়ারম্যানের দায়িত্ব সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যকে অর্পণ করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশ ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বিষয়ক কাযাবর্লী | | ৪৮।(১) সরকার, সময়ে সময়ে, চাহিদা মোতাবেকগ্রামীণ এলাকায় গ্রাম পুলিশ বাহিনী গঠন করিতে পারিবে এবং সরকার কতৃর্ক উক্তগ্রাম পুলিশ বাহিনী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা এবং চাকুরির শর্তাবলীনিধারর্ণ করা হইবে।
(২) সরকার যেরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে গ্রাম পুলিশ সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে।
(৩)ডেপুটি কমিশনারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ইউনিয়ন বা তাহার অংশবিশেষে জননিরাপত্তা ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণেরপ্রয়োজন রহিয়াছে সেই ক্ষেত্রে উক্ত এলাকার প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিগণকেআদেশে উল্লিখিত পদ্ধতিতে গণপাহারায় নিয়োজিত করিতে পারিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আদেশ জারি করা হইলে ইউনিয়ন পরিষদ আদেশে উল্লিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নাগরিক সনদ প্রকাশ | | ৪৯। (১) এই আইনের অধীন গঠিত প্রতিটি পরিষদ, নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া বিভিন্ন প্রকারের নাগরিক সেবা প্রদানেরবিবরণ, সেবা প্রদানের শর্তসমূহ এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেবা প্রদাননিশ্চিত করিবার বিবরণ প্রকাশ করিবে যাহা "নাগরিক সনদ"(Citizen Charter) বলিয়া অভিহিত হইবে।
(২) সরকার পরিষদের জন্য আদর্শ নাগরিক সনদসংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করিবে এবং পরিষদ আইন ও বিধি সাপেক্ষে, এনির্দেশিকার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করিবার ক্ষমতা রাখিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধরনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হইলে, তাহা অবগতির জন্য সরকারকে অবহিত করিতে হইবে।
(৩) নাগরিক সনদ সময়ে সময়ে হাল নাগাদ করিতে হইবে।
(৪) নাগরিক সনদ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নে নিম্নবর্ণিত বিষয় অনত্দর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-
(ক) প্রতিটি সেবার নির্ভূল ও স্বচ্ছ বিবরণ;
(খ) সেবা প্রদানের মূল্য;
(গ) সেবা গ্রহণ ও দাবি করা সংক্রান্ত যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া;
(ঘ) সেবা প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা;
(ঙ) সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে নাগরিকদের দায়িত্ব;
(চ) সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা;
(ছ) সেবা প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগ নিষপত্তির প্রক্রিয়া; এবং
(জ) সনদে উল্লিখিত অঙ্গীকার লংঘনের ফলাফল। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
উন্নততর তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুশাসন | | ৫০। (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ সুশাসন নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উন্নততর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পুরণকল্পে সরকার আর্থিক ও কারিগরি সাহায্যসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করিবে।
(৩)পরিষদ নাগরিক সনদে বর্ণিত আধুনিক সেবা সংক্রান্ত বিষয়সহ সরকারিভাবেপ্রদত্ত সকল সেবার বিবরণ উন্নততর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের জ্ঞাতকরিবার ব্যবস্থা করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | নবম অধ্যায় পরিষদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ও তহবিল | |
| | |
পরিষদের সম্পত্তি অর্জন, দখলে রাখিবার ও নিষ্পত্তি করিবার ক্ষমতা | | ৫১। (১) প্রত্যেক পরিষদের সমপত্তি অর্জনের, দখলেরাখিবার ও নিষ্পত্তি করিবার এবং চুক্তিবদ্ধ হইবার ক্ষমতা থাকিবে; তবে, স্থাবর সমপত্তি অর্জন বা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পরিষদকে সরকারের পূর্বানুমোদনগ্রহণ করিতে হইবে।
(২) সরকার নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) পরিষদের মালিকানাধীন বা উহার উপর ন্যস্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, হস্তান্তর, নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত;
(খ) পরিষদের জন্য প্রয়োজনীয় স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত।
(৩) পরিষদ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক)উহার মালিকানাধীন বা উহার উপর বা উহার তত্তাবধানে ন্যস্ত যে কোন সমপত্তিরব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিদর্শন ও উন্নয়ন করিতে পারিবে;
(খ) এই আইন বা বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্ত সম্পত্তি কাজে লাগাইতে পারিবে; এবং
(গ) দান, বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা, বিনিময়ের মাধ্যমে যে কোন সমপত্তি অর্জন বা হস্তান্তর করিতে পারিবে।
(৪)পরিষদ যথাযথ জরিপের মাধ্যমে উহার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল সমপত্তির বিবরণাদিপ্রস্তুত করিয়া প্রতি বৎসর উহা হালনাগাদ করিবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সম্পদের বিবরণী, মানচিত্র প্রস্তত করিয়া উহার একটি অনুলিপি নির্ধারিতকর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।
(৫) এই আইন বা নির্ধারিত পদ্ধতিউপেক্ষা বা লংঘন করিয়া যদি সম্পত্তি অর্জন, দখল ও নিষ্পত্তি করা হয়, তাহাহইলে, উহা অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ ওপ্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্যহইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য এই আইনের বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রাপ্যহইবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদে সম্পদ হস্তান্তর | | ৫২। সরকার, কোন পরিষদ বা উহার স্থানীয়অধিক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থিত কোন সরকারি সমপত্তি সংশ্লিষ্ট আইন বাবিধি-বিধান অনুযায়ী উক্ত পরিষদকে হস্তান্তর করিতে পারিবে এবং উক্তরূপহস্তান্তরিত সমপত্তি ঐ পরিষদের উপর বর্তাইবে ও উহার নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের তহবিল | | ৫৩। (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের নামে একটি তহবিল থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
(ক) সরকার কতৃর্ক প্রদত্ত অনুদান ও মঞ্জুরী;
(খ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সকল স্থানীয় উৎস হইতে আয়;
(গ) অন্য কোন পরিষদ কিংবা কোন স্থানীয় কতৃর্পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান ও মঞ্জুরী;
(ঘ) সরকার কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরীকৃত ঋণসমূহ (যদি থাকে);
(ঙ) পরিষদ কতৃর্ক, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আদায়কৃত সকল কর, রেইট, টোল ও ফিস বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;
(চ)পরিষদের উপর ন্যস্ত এবং তৎকতৃর্ক নির্মিত বা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিতবিদ্যালয়, হাসপাতাল, ঔষধালয়, ভবন, প্রতিষ্ঠান বা পূর্ত কায হইতে প্রাপ্তসকল আয় বা মুনাফা;
(ছ) কোন ট্রাষ্টের নিকট হইতে উপঢৌকন বা অনুদান হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ;
(জ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রাপ্ত জরিমানা ও অর্থদণ্ডের অর্থ;
(ঝ) পরিষদ কতৃর্ক প্রাপ্ত অন্য সকল প্রকার অর্থ।
(ঞ) এই আইন কার্যকর হইবার কালে সংশ্লিষ্ট পরিষদের সম্পূর্ণ এখতিয়ারে উদ্বৃত্ত তহবিল। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের ব্যয় | | ৫৪। (১) তহবিলের অর্থ নিম্নলিখিত খাতসমূহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যয় করিতে হইবে, যথা :-
(ক) পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান;
(খ) এই আইনের অধীন তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়;
(গ) এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা অধ্যাদেশ দ্বারা ন্যস্ত পরিষদের দায়িত্ব সম্পাদন ও কর্তব্য পালনের জন্য ব্যয়;
(ঘ) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়;
(ঙ) সরকার কর্তৃক পরিষদের উপর ঘোষিত দায়যুক্ত ব্যয়।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদ যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবে পরিষদের তহবিল হইতে সেইরূপ অর্থ ব্যয় করিবার ক্ষমতা উহার থাকিবে।
(৩) তহবিলে জমা খাতে উদ্বৃত্ত অর্থ, সরকার সময়ে সময়ে যেরূপ নির্দেশ দিবে, সেইরূপ খাতে ব্যয় হইবে।
(৪) পরিষদের তহবিল পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের তহবিল সংরক্ষণ বা বিনিয়োগ এবং বিশেষ তহবিল গঠন | | ৫৫। (১) পরিষদের তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন সরকারিট্রেজারীতে বা সরকারি ট্রেজারীর কার্য পরিচালনাকারী কোন ব্যাংকে বা সরকারকর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখিতে হইবে।
(২) পরিষদ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার তহবিলের যে কোন অংশ বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩)পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে পৃথক তহবিল গঠনএবং সংরৰণ করিতে পারিবে, যাহা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত ওনিয়ন্ত্রিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
দায়যুক্ত ব্যয় | | ৫৬। (১) পরিষদ তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় নিম্নরূপ হইবে, যথাঃ -
(ক)পরিষদের চাকুরিতে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে (প্রেষণেনিয়োগপ্রাপ্ত কিংবা নিজস্ব) বেতন ও ভাতা হিসেবে প্রদেয় সমুদয় অর্থ;
(খ)সরকার কতৃর্ক নির্দেশিত পরিষদের নিবার্চন পরিচালনা, হিসাব নিরীক্ষা বাসময়ে সময়ে সরকারের নির্দেশক্রমে অন্য কোন বিষয়ের জন্য পরিষদ কতৃর্ক প্রদেয়অর্থ;
(গ) কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কতৃর্ক পরিষদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রী বা রোয়েদাদ কাযর্কর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ; এবং
(ঘ) সরকার কতৃর্ক দায়যুক্ত বলিয়া ঘোষিত অন্য যে কোন ব্যয়।
(২)পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত কোন ব্যয়ের খাতে যদি কোন অর্থ অপরিশোধিতথাকে, তাহা হইলে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের হেফাজতে উক্ত তহবিল থাকিবেসেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত তহবিল হইতে যতদূরসম্ভব উক্ত অর্থ পরিশোধ করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | দশম অধ্যায় বাজেট ও হিসাব নিরীক্ষা | |
| | |
বাজেট | | ৫৭।প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ প্রতি অর্থ বৎসরশুরু হইবার অন্যূন ৬০ (ষাট) দিন পূবে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ড সভা হইতেপ্রাপ্ত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উক্ত অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় বিবরণীসম্বলিত একটি বাজেট প্রণয়ন করিবে।
(২) ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টস্থায়ী কমিটি এবং স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশনঅনুষ্ঠান করিয়া বাজেট পেশ করিবে এবং পরিষদের পরবর্তী সভায় পাসকৃত বাজেটেরঅনুলিপি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে।
(৩) কোনইউনিয়ন পরিষদ অর্থ বৎসর শুরু হইবার পূবে উক্ত বাজেট প্রণয়ন করিতে ব্যর্থহইলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নিবার্হী অফিসার সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের একটি বিবরণীপ্রস্তুত ও প্রত্যয়ন করিবে এবং এইরূপ প্রত্যয়নকৃত বিবরণী ইউনিয়ন পরিষদেরঅনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) উপজেলা নিবার্হী অফিসারউপ-ধারা (২) এর অধীন প্রণীত বাজেটের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনেরমধ্যে বাজেটে কোন ত্রুটি থাকিলে উহা সংশোধন করিয়া পরিষদকে অবহিত করিবে এবংঅনুরূপভাবে প্রণীত বাজেট ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫)কোন অর্থ বৎসর শেষ হইবার পূবে যে কোন সময় উক্ত বৎসরের জন্য প্রয়োজন হইলেইউনিয়ন পরিষদ সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করিয়া উহার অনুলিপি উপজেলা নিবার্হীঅফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উক্ত সংশোধিত বাজেটের ক্ষেত্রেও উপ ধারা (৪) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৬) এই আইন অনুযায়ী গঠিত ইউনিয়নপরিষদ দায়িত্বভার গ্রহণের পর অর্থ বৎসরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য বাজেট প্রণয়নকরিতে পারিবে এবং উক্ত বাজেটের ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্যহইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
হিসাব | | ৫৮। ইউনিয়ন পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(২)প্রত্যেক অর্থ বৎসরের শেষে ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত অর্থ বৎসরের আয় ও ব্যয়েরহিসাব প্রস্তুত করিবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্থায়ী কমিটি ও জনসাধারণেরউপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে এই হিসাব পেশ করিবে।
(৩)ইউনিয়ন পরিষদ পরবর্তী অর্থ বৎসরের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উপ-ধারা (২)অনুযায়ী পরিষদের আয়-ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসাব এর বিবরণ উপজেলা নির্বাহীঅফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে; উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমন্বিত প্রতিবেদনসরকার কর্তৃক নির্ধারিত ছকে ডেপুটি কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং ডেপুটিকমিশনার সমন্বিত প্রতিবেদন নির্ধারিত ছকে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিরীক্ষক নিয়োগ | | ৫৯। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলের হিসাবসমূহ সরকারযেরূপ বিহিত করিবে, সেইরূপ সময়ে ও স্থানে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় নিযুক্তকোন নিরীক্ষক কতৃর্ক পরীক্ষিত ও নিরীক্ষিত হইবে।
(২) এই ধারা অনুযায়ী নিযুক্ত নিরীক্ষক দণ্ড বিধি, ১৮৬০ (Penal Code, 1860) এর ২১ ধারা মতে জনসেবক (Public Servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৩)নিরীক্ষক তহবিলের যে সকল হিসাব উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ জানাইবেন, পরিষদেরচেয়ারম্যান, ক্ষেত্রমত, সেই সকল হিসাব নিরীক্ষকের নিকট উপস্থাপন করিবেন বাকরাইবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিরীক্ষকগণের ক্ষমতা | | ৬০। (১) এই আইন অনুযায়ী নিরীক্ষার প্রয়োজনে কোন নিরী্ক্ষক-
(ক)নিরীক্ষা কার্য যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য তিনি যেরূপ আবশ্যক বলিয়া বিবেচনাকরিবেন সেইরূপ কোন তথ্য তাহার সম্মুখে উপস্থাপন কিংবা লিখিতভাবে সরবরাহকরিবার জন্য চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করিতে পারিবেন;
(খ) যে ব্যক্তিউক্তরূপ কোন তথ্যাদির জন্য কৈফিয়ত দিতে দায়ী, অথবা যে ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণেউক্তরূপ কোন দলিল বা তথ্য থাকে, অথবা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণেরসহিত, দ্বারা বা পক্ষে কোন অংশ বা স্বার্থ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, এবংতাহার স্বনামেই হউক বা তাহার অংশীদারের নামেই হউক, থাকে, সেইরূপ কোনব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হইবার জন্য লিখিত অনুরোধ করিতে পারিবেন; এবং
(গ) উক্তরূপ অবস্থার প্রেক্ষিতে তাহার সম্মুখে উপস্থাপিত কোনব্যক্তিকে উক্তরূপ কোন তথ্য সমপর্কে একটি ঘোষণা প্রস্তুত করিয়া উহাস্বাক্ষর করিবার জন্য, অথবা কোন প্রশ্নের উত্তর দিবার জন্য অথবা কোন বিবৃতিপ্রস্তুত করিয়া উহা দাখিল করিবার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন;
(ঘ) নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষা সমাপনান্তে প্রতিবেদন দাখিল করিবেন, যাহাতে অন্যান্য বিষয়ের সহিত উল্লেখ থাকিবে-
(অ) তহবিল তসরুফের ঘটনা;
(আ) পরিষদ তহবিলের ক্ষতি, অপচয়, অথবা অপপ্রয়োগের ঘটনা;
(ই) হিসাব রক্ষণের ক্ষেত্রে অন্যান্য অনিয়ম;
(ঈ)নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের মতে যে সকল ব্যক্তি উপ-দফা (অ), (আ) ও (ই) এ বর্ণিতঅনিয়মের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী তাহাদের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখথাকিতে হইবে;
(ঙ) নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের কপি পরিষদকে প্রদান করিয়া, তাহার অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে;
(চ)নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চিহ্নিত অনিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে, পরিষদদ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ, সরকারকে অবহিত করিবে।
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) অনুযায়ীনিরীক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত অনুরোধ পালন করিতে অবহেলা করে বা অস্বীকৃতি জানায়, তাহা হইলে, নিরীক্ষক, যে কোন সময়, উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহীঅফিসারকে অবহিত করিতে পারিবেন; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, যে ব্যক্তিনিরীক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত অনুরোধ পালন করিতে অবহেলা করিতেছে বা অস্বীকৃতিজানাইয়াছে সেই ব্যক্তিকে যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ নির্দেশ প্রদানকরিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ ঐ ব্যক্তির জন্যে অবশ্যই পালনীয় হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি প্রণয়ন | | ৬১। সরকার নিরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি প্রণয়ন করিবে, যাহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-
(ক) নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংক্রান্ত সময়সীমা;
(খ) হিসাব পত্রের গুরুত্বপূর্ণ অসংগতি বা অনিয়ম;
(গ) অর্থ বা সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতি বা অপচয়;
(ঘ) নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর ব্যবস্থা গ্রহণের সময়সীমাসহ অন্যান্য করণীয় বিষয়াবলী;
(ঙ) অবৈধভাবে অর্থ প্রদানকারী বা অর্থ প্রদানকারী কতৃর্পক্ষের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট সুপারিশ;
(চ) হিসাব পত্রের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা;
(ছ) হিসাব পত্রের বিশেষ নিরীক্ষা। | |
| | |
| |
| | |
| | একাদশ অধ্যায় পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী | |
| | |
ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী | | ৬২। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের একজন সচিব, একজনহিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর থাকিবেন, যাহারা সরকার বা সরকার কতৃর্কনির্ধারিত কোন কতৃর্পক্ষের মাধ্যমে নিযুক্ত হইবেন।
(২) সরকার, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, চাকুরির শর্ত নির্ধারণ, বেতন-ভাতা প্রদান, শৃংখলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অবসর প্রদানইত্যাদি বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিবে।
(৩) পরিষদ, সরকারেরপুবার্নুমোদনক্রমে, পরিষদের অন্যান্য সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষমতা ওদায়িত্ব পালন সম্পকির্ত বিষয়ে প্রবিধি প্রণয়ন করিবে।
(৪) সরকারেরপূবার্নুমোদনক্রমে, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রয়োজনবোধে, অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করিতেপারিবে, যাহাদের বেতন, ভাতা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিল হইতেপরিশোধ করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিষদে ন্যস্তকরণে সরকারের ক্ষমতা | | ৬৩। (১) নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে পরিষদের সাধারণবা বিশেষ কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে সরকার তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত সরকারিকর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং তাহাদের কার্যাবলী নির্ধারিত সময়ের জন্য পরিষদেহস্তান্তর করিতে পারিবে, উক্তরূপে হস্তান্তরিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণসংশ্লিষ্ট পরিষদের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরম্নদ্ধেশৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন মনে করিলে পরিষদ এ বিষয়ে প্রাথমিকঅনুসন্ধান করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপৰেরনিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিষদেহস্তান্তরিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ তাহাদের উপর অর্পিত সাধারণ দায়িত্বছাড়াও পরিষদ কর্তৃক, সময়ে সময়ে, নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৪)উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ পরিষদের নিকট এইআইন বা বিধি অনুযায়ী হস্তান্তরিত নহে উক্তরূপ সরকারি প্রকল্প, স্কীম, পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করিবেন ।
(৫)সংশ্লিষ্ট পরিষদ কর্তৃক ব্যয়ভার ক্ষমতা অর্জন না করা পর্যন্ত উপ-ধারা (১)এর অধীন হস্তান্তরিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্যআর্থিক সুবিধা সরকার কর্তৃক প্রদেয় হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের নিবার্চিত প্রতিনিধি ও কর্মকর্তা বা কমর্চারীগণের সম্পর্ক | | ৬৪। (১) পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মকর্তা বাকমর্চারীগণের আইনগত অধিকার ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যেসরকার নিবার্চিত জনপ্রতিনিধি এবং পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন বা পরিষদেন্যস্তকৃত কর্মকর্তা বা কমর্চারীগণের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ বিষয়ক একটিআচরণ বিধি (Code of Conduct) প্রণয়ন করিবে।
(২) পরিষদের যে কোন সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামত সভার কাযবিবরণীতে উল্লেখ থাকিতে হইবে।
(৩)নিবার্চিত কোন জনপ্রতিনিধি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোন কায সম্পাদনেরজন্য মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করিলেও সংশ্লিষ্ট কাজটি বাস্তবায়নের পূবেলিখিতভাবে নির্দেশনা দিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | দ্বাদশ অধ্যায় পরিষদের করারোপ | |
| | |
পরিষদ কতৃর্ক করারোপ | | ৬৫। (১) ইউনিয়ন পরিষদ চতুর্থ তফসিলে উল্লিখিতসকল অথবা যে কোন কর, রেইট, টোল, ফিস ইত্যাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিতপদ্ধতিতে আরোপ করিতে পারিবে।
(২) পরিষদ কতৃর্ক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল, ফিস ইত্যাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপিত হইবেএবং সরকার ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে উক্ত আরোপের বিষয়টি আরোপের পূবেইপ্রকাশ করিতে হইবে।
(৩) কোন কর, রেইট, টোল ও ফিস আরোপের বা উহারপরিবর্তনের কোন প্রস্তাব অনুমোদিত হইলে অনুমোদনকারী কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক যেতারিখ হইতে উহা কাযর্কর হইবে বলিয়া নির্দেশ দিবে সেই তারিখ হইতে উহাকাযর্কর হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
আদর্শ কর তফসিল | | ৬৬। সরকার ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আদর্শ কর তফসিলপ্রণয়ন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ তফসিল প্রণীত হইলে কর, রেইট, টোল কিংবা ফিসইত্যাদি আরোপ উক্ত তফসিল দ্বারা পরিচালিত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কর সংক্রান্ত দায় | | ৬৭। (১) কোন ব্যক্তি বা জিনিসপত্রের উপর কর, রেইট, টোল কিংবা ফিস আরোপ করা যাইবে কিনা উহা নির্ধারণের প্রয়োজনে পরিষদনোটিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিতে বাএতদ্সংক্রান্ত দলিলপত্র, হিসাব বই বা জিনিসপত্র দাখিল করিবার জন্য নির্দেশদিতে পারিবে।
(২) এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিষদের কোন সদস্য বাকর্মচারী যথাযথ নোটিশ প্রদানের পর কোন ইমারত বা অঙ্গন কর আরোপযোগ্য কিনাউহা যাচাই করিবার জন্য উক্ত ইমারত বা অঙ্গনে প্রবেশ করিতে পারিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কর সংগ্রহ ও আদায়, ইত্যাদি | | ৬৮। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, এইআইনের অধীন আরোপযোগ্য সকল কর, রেইট, টোল বা ফিস নির্ধারিত ব্যক্তি কতৃর্কনির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায় করিতে হইবে।
(২) এই আইনের অধীন পরিষদ কতৃর্ক দাবীযোগ্য সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ সরকারি দাবি হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
(৩)এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিষদের যে কোন সদস্য বা কর্মকর্তা নির্ধারিতপদ্ধতিতে বকেয়া কোন কর, রেইট, টোল বা ফিস আদায়ের জন্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত ওনিস্পত্তি করিতে পারিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও, সরকার কোন পরিষদকে এই আইনের অধীন প্রাপ্য সকল অনাদায়ী কর, রেইট, টোল, ফিসবা অন্যান্য বকেয়া অর্থ আদায় করিবার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরমালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করিবার ক্ষমতাপ্রদান করিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা কোন্কর্মকর্তা বা কোন্ শ্রেণীর কর্মকর্তা কি প্রকারে প্রয়োগ করিবেন তাহা সরকারবিধি দ্বারা নির্ধারণ করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কর নির্ধারণ, মূল্যায়ন ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপত্তি | | ৬৯। এই আইনের অধীন ধার্য কোন কর, রেইট, টোল বাফিস বা এতদ্সংক্রান্ত কোন সম্পত্তির মূল্যায়ন অথবা কোন ব্যক্তি কতৃর্ক উহাপ্রদানের দায়িত্ব সম্পর্কে কোন আপত্তি লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে নির্ধারিতকতৃর্পক্ষের নিকট এবং নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে উত্থাপন করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কর বিধি | | ৭০। (১) পরিষদ কতৃর্ক ধাযর্কৃত সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য দাবি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, আরোপ, ইত্যাদি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা যাইবে।
(২) এই ধারায় উল্লিখিতবিষয় সম্পর্কিত বিধিতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে কর দাতাদের করণীয় এবং করধার্যকারী ও আদায়কারী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কতৃর্পক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্বসম্পর্কে বিধান থাকিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | ত্রয়োদশ অধ্যায় সরকার ও কমিশনের ক্ষমতা | |
| | |
পরিষদের রেকডর্, ইত্যাদি পরিদর্শনের ক্ষমতা | | ৭১।(১) সরকার বা সরকার কতৃর্ক ক্ষমতা প্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা পরিষদকে নিম্নরূপ নির্দেশ দিতে পারিবে, যথাঃ
(ক) পরিষদের হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোন রেকর্ড, রেজিষ্টার বা অন্যান্য নথিপত্র উপস্থাপনঃ
তবেশর্ত থাকে যে, প্রয়োজনে এই সকল রেকর্ড, রেজিষ্টার বা নথিপত্রের ফটোকপিরাখিয়া মূল কপি ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিষদে ফেরত দিতে হইবে;
(খ) যে কোন রিটার্ন, প্ল্যান, প্রাক্কলন, আয়-ব্যয় বিবরণী ইত্যাদি দাখিল;
(গ) পরিষদ সংশ্লিষ্ট যে কোন তথ্য বা প্রতিবেদন সরবরাহ।
(২) পরিষদের আয়ের উৎস হিসাবে কোন দাবি পরিত্যাগ বা কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করিয়া দেওয়ার পূবে সরকারের পূবার্নুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩)ডেপুটি কমিশনার বা তৎকতৃর্ক ক্ষমতা প্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা যে কোন পরিষদএবং পরিষদের নথিপত্র, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, সমাপ্ত ও চলমান উন্নয়নপ্রকল্পসহ যে কোন নিমার্ণ কাজ পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
(৪) পরিষদেরচেয়ারম্যান, সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ উপ-ধারা (১) অনুযায়ীনিযুক্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৫) সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রত্যেক পরিষদের প্রশাসনিককাযর্ক্রম সংক্রান্ত পারফরমেন্স অডিট সম্পন্ন করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
কারিগরি তদারকি ও পরিদর্শন | | ৭২। সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনবিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং তৎকতৃর্ক মনোনীত কারিগরি কর্মকর্তাগণ পরিষদেরমাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন উক্ত বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ এবং সংশ্লিষ্টরেকর্ড ও নথিপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সরকার বা কমিশনের দিক নির্দেশনা প্রদান এবং তদন্ত করিবার ক্ষমতা | | ৭৩। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, কমিশনের মতামত গ্রহণ করিয়া, সরকারের নীতির সাথে সঙ্গতি রাখিয়া যেকোন পরিষদকে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প প্রণয়ন ও প্রকল্পের উপকারভোগী নিবার্চন, পরিষদ ওওয়ার্ড সভার কাযর্ক্রম পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করিতেপারিবে, এবং পরিষদ উক্তরূপ দিক নির্দেশনা বাধ্যতামুলকভাবে অনুসরণ করিবে।
(২)কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন বা কোনরূপ আর্থিক অনিয়ম বা পরিষদের অন্য যে কোনঅনিয়মের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ সরকার বা সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত এক বা একাধিককর্মকর্তা তদন্ত করিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট পরিষদ উক্ত তদন্ত কাজপরিচালনায় সহযোগিতা করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তদন্তসম্পাদনের পর তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করিয়া সরকার, এই আইনের বিধানসাপেক্ষে, দায়ী ব্যক্তি, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা পরিষদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ, পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ | | ৭৪। (১) যদি সরকারের নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয়যে, কোন পরিষদ বা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাএই আইন বা সরকারের অন্য কোন আদেশ দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব সম্পাদনেব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, সরকার অথবা সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত কতৃর্পক্ষলিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্তরূপ দায়িত্ব পালনের জন্যপরিষদ বা চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১)অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ পালনে ব্যর্থ হইলেসরকার সংশ্লিষ্টদের যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া, কারণ দর্শাইবেন এবংউক্তরূপ দায়িত্ব সম্পাদন বা আদেশ পালনের জন্য যে কোন কর্মকর্তা বাকতৃর্পক্ষকে দায়িত্ব পালনার্থে নিয়োগ করিবেন এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট আর্থিকসংশ্লেষ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিষদের তহবিল বা সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগততহবিল হইতে বহনের নির্দেশ প্রদান করিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের সিদ্ধান্ত, কাযবিবরণী, ইত্যাদি বাতিল বা স্থগিতকরণ | | ৭৫।(১) সরকার স্বয়ং অথবা পরিষদের চেয়ারম্যান বাসদস্য বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তির আবেদনেরপ্রেক্ষিতে পরিষদের যে কোন কাযবিবরণী বা সিদ্ধান্ত বাতিল বা স্থগিত করিতেপারিবে, যদি উক্তরূপ সিদ্ধান্ত বা কাযবিবরণী-
(ক) আইনসংগতভাবে গৃহীত না হইয়া থাকে;
(খ) এই আইন বা অন্য কোন আইনের পরিপন্থী বা অপব্যবহারমূলক হইয়া থাকে;
(গ)মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হুমকিরসম্মুখীন করে অথবা দাঙ্গা বা ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে; অথবা
(ঘ) সরকার কতৃর্ক জারিকৃত দিকনির্দেশনামূলক সিদ্ধান্তের পরিপন্থী হয়।
(২)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত বা কাযবিবরণী বাতিল বা স্থগিত করিবারপূর্বে সরকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিষদকে যথাযথ শুনানির সুযোগ দিয়া উক্তশুনানির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পরিষদের কার্যবিবরণী বা সিদ্ধান্ত বাতিল বাসংশোধন বা চূড়ান্ত করিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরিষদের কোনসিদ্ধান্ত বা কাযবিবরণী বাতিল বা সংশোধন করা প্রয়োজন মনে করিলে, উপ-ধারা (২) অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূব পযর্ন্ত সরকার সাময়িকভাবে উক্তকাযবিবরণীর সিদ্ধান্ত স্থগিত করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের বার্ষিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রতিবেদন | | ৭৬।(১) পরিষদ প্রত্যেক বৎসর সরকার কতৃর্কনির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে পরিষদের বার্ষিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রতিবেদনপ্রস্তত করিবে এবং পরবর্তী বৎসরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উহা সরকার এবংকমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত নির্ধারিতসময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করিতে না পারিলে সরকার পরিষদের অনুকূলেঅনুদান প্রদান স্থগিত রাখিতে পারিবে।
(৩) পরিষদের সচিবচেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে উক্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন এবং উহাচূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিষদের সভায় উপস্থাপন করিবেন।
(৪) ইউনিয়নপরিষদের প্রশাসনিক প্রতিবেদন উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিতেহইবে এবং উপজেলা নিবার্হী অফিসার সমন্বিত প্রতিবেদন সরকার কতৃর্ক নির্ধারিতছকে ডেপুটি কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং ডেপুটি কমিশনার সমন্বিতপ্রতিবেদন নির্ধারিত ছকে সরকার ও কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৫) সরকার উপ-ধারা (৪) অনুসারে প্রাপ্ত সমন্বিত বার্ষিক প্রতিবেদন সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে উপস্থাপন করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ বাতিল ও পুনঃনিবার্চন | | ৭৭। (১) সরকার নিম্নলিখিত কারণে যথাযথ তদন্তপূর্বক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিষদ বাতিল করিতে পারিবে, যথা
(ক) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাজেট পাশ করিতে ব্যর্থ হইলে; অথবা
(খ) পরিষদের ৭৫% (শতকরা ৭৫ ভাগ) নির্বাচিত সদস্য পদত্যাগ করিলে; অথবা
(গ) পরিষদের ৭৫% (শতকরা ৭৫ ভাগ) নির্বাচিত সদস্য এই আইনের অধীন অযোগ্য হওয়ার কারণে অপসারিত হইলে ; অথবা
(ঘ) পরিষদ ক্ষমতার অপব্যবহার করিলে; অথবা
(ঙ)সরকারের বিবেচনায় কোন পরিষদ এই আইন ও অন্যান্য আইন বা বিধি এবং সরকারেরসার্কুলার, পরিপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিকভাবেব্যর্থ হইলে ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, পরিষদ বাতিল করিবার পূর্বে পরিষদকে যুক্তিসংগতভাবে শুনানীর সুযোগ দিতে হইবে।
(২)উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরিষদ বাতিলের আদেশ প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতেকার্যকর হইবে এবং গেজেট প্রজ্ঞাপনের কপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করিতেহইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতে পরিষদেরচেয়ারম্যান ও সকল সদস্যের আসন শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত আসনশূন্য হইবার অনূ্যন ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠানেরমাধ্যমে পরিষদ পুনর্গঠিত হইবে।
(৪) পুনর্গঠিত পরিষদের সদস্যগণ পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৫)পরিষদ বাতিল হইবার এবং পুনর্গঠিত হইবার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সরকারকতৃর্ক নিযুক্ত একটি প্রশাসনিক কমিটি পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনাকরিবে।
(৬) পরিষদের সকল সম্পদ ও দায় উপ-ধারা (৪) অনুযায়ীপুনর্গঠিত পরিষদের উপর দায়িত্ব গ্রহণের পর হইতে পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদকালপর্যন্ত এবং উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী গঠিত প্রশাসনিক কমিটির উপর দায়িত্বগ্রহণের তারিখ হইতে পরিষদ পুনর্গঠন হওয়া পর্যন্ত বর্তাইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | চতুর্দশ অধ্যায় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার | |
| | |
তথ্য প্রাপ্তির অধিকার | | ৭৮। (১) প্রচলিত আইনের বিধান সাপেৰে, বাংলাদেশেরযে কোন নাগরিকের পরিষদ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রাপ্তির অধিকার থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক নাকেন, সরকার জনস্বার্থ এবং স্থানীয় প্রশাসনিক নিরাপত্তার স্বার্থে গেজেটপ্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন রেকর্ড বা নথিপত্র ক্লাসিফাইড রেকর্ড হিসাবেবিশেষ শ্রেণীভুক্ত করিতে পারিবে।
(৩) কোন ব্যক্তির উক্তরূপ বিশেষশ্রেণীভুক্ত রেকর্ড ও নথিপত্রের তথ্য জানিবার অধিকার থাকিবে না এবং পরিষদএই সংক্রান্ত যে কোন আবেদন অগ্রাহ্য করিতে পারিবে।
(৪) সরকার, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এলাকার জনসাধারণের নিকট সরবরাহযোগ্য তথ্যেরএকটি তালিকা প্রকাশের জন্য পরিষদকে আদেশ দিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
তথ্য সরবরাহের পদ্ধতি | | ৭৯। (১) কোন ব্যক্তির কোন তথ্যের প্রয়োজন হইলেতাহাকে নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত ফি দিয়া পরিষদের চেয়ারম্যানের বরাবরেলিখিত আবেদন করিতে হইবে; উক্ত দরখাস্ত নামঞ্জুর বা অন্যরূপ নিষ্পত্তি নাহইলে সচিব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাহিত তথ্যাদি সরবরাহ করিবেন।
(২) কোন ব্যক্তির আবেদন নামঞ্জুর হইলে উক্ত নামঞ্জুরের কারণ তাহাকে লিখিতভাবে জানাইতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা | | ৮০। (১) পরিষদের সচিব বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যকোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই অধ্যায়ে বর্ণিত নোটিফাইড রেকর্ডপত্র ব্যতীতঅন্যান্য তথ্যাদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে সরবরাহ করিতেবাধ্য থাকিবে।
(২) যদি সচিব বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাকর্মচারী নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে উক্তরূপ তথ্যাদি সরবরাহ না করেন, তাহাহইলে প্রতিদিনের বিলম্বের জন্য ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা হারে জরিমানা দিতে হইবেএবং উক্ত জরিমানার অর্থ পরিষদের তহবিলে জমা হইবে।
(৩) পরিষদের সচিববা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি তথ্য সরবরাহ না করেন, অথবাযদি তাহার জানা সত্ত্বেও অসত্য বা ভুল তথ্য সরবরাহ করেন, তাহা হইলে তিনিঅন্যূন ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
সরল বিশ্বাসে কৃত কর্ম | | ৮১। এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদিসচিব বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, চাহিত তথ্যাদি সরবরাহ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট নথি বা রেকর্ডপত্র খুঁজিয়াপাওয়া যাইতেছে না অথবা এই ধরনের তথ্যাদি পরিষদে সংরক্ষিত নাই, তাহা হইলে, উক্ত বিষয়টি আবেদনকারীকে যথাশীঘ্র্র সম্ভব জানাইয়া দিতে হইবে এবং এই ধারায়বর্ণিত কারণে তথ্য সরবরাহ না করিতে পারিলে সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বাকর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | পঞ্চদশ অধ্যায় টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল, ইত্যাদি নিবন্ধিকরণ | |
| | |
টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি নিবন্ধিকরণ | | ৮২। (১) এই আইন কাযর্কর হওয়ার তারিখে বাতৎপরবর্তীতে পরিষদ এলাকায় পরিষদের নিবন্ধন ব্যতীত বেসরকারিভাবে বাব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত টিউটোরিয়াল স্কুল বা কোচিং সেন্টার চালু করা যাইবেনা; উক্তরূপ নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরেআবেদন করিতে হইবে এবং উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর পরিষদ প্রয়োজনীয় তদন্তকরিয়া সন্তোষজনক বিবেচিত হইলে পরিষদ সভার অনুমোদক্রমে নিবন্ধনের অনুমতিপ্রদান করিবে ।
(২) এই আইন জারি হওয়ার সময় যে সকল টিউটোরিয়াল স্কুলবা কোচিং সেন্টার চালু থাকিবে সে সকল প্রতিষ্ঠান সরকার কতৃর্ক নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিলে পরিষদসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোনসরকারি সম্পত্তিতে সরকারের পূবার্নুমোদন ব্যতীত এই ধরনের টিউটোরিয়াল স্কুলবা কোচিং সেন্টার চালু করিবার আবেদন করিলে উহা নিবন্ধন করা যাইবে নাঃ
তবেআরও শর্ত থাকে যে, সরকারি সম্পত্তিতে পূব হইতে চালুকৃত প্রতিষ্ঠাননির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমতি না পাইলেউক্তরূপ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩)উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন নিবন্ধিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন পাঁচবৎসর অন্তর অন্তর সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত ফি দিয়া নবায়ন করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
প্রাইভেট হাসপাতাল, ইত্যাদি নিবন্ধিকরণ | | ৮৩। (১) এই আইন কাযর্কর হওয়ার তারিখে বাতৎপরবর্তীতে পরিষদের এখতিয়ারাধীন এলাকায় পরিষদে যথানিয়মে নিবন্ধন ব্যতীতকোন প্রাইভেট হাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করাযাইবে না।
(২) এই আইন জারি হওয়ার সময় যে সকল প্রাইভেটহাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট চালু থাকিবে সে সকল প্রতিষ্ঠান সরকারকতৃর্ক নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকরিলে পরিষদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করিবেঃ
তবে শর্ত থাকেযে, কোন সরকারি সম্পত্তিতে সরকারের পূবার্নুমোদন ব্যতীত এই ধরনের প্রাইভেটহাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট চালু করিবার আবেদন করিলে উহানিবন্ধন করা যাইবে নাঃ
তবে আরও শর্ত থাকে যে, সরকারি সম্পত্তিতেপূর্ব হইতে চালুকৃত প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি সম্পত্তিব্যবহার সংক্রান্ত অনুমতি না পাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নির্দিষ্টসময়ের পর বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীননিবন্ধিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ৫ (পাঁচ) বৎসর অন্তর অন্তর সরকারকতৃর্ক নির্ধারিত ফি দিয়া নবায়ন করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নিবন্ধিকরণে ব্যর্থতার দণ্ড | | ৮৪। কোন ব্যক্তি পরিষদের নিবন্ধন ব্যতীত কোনটিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল বা প্যারামেডিক্যালইনস্টিটিউট স্থাপন বা পরিচালনা করিলে অথবা উক্তরূপ প্রতিষ্ঠান বাহাসপাতালের নিবন্ধন বাতিল করিবার পরও উহা পরিচালনা অব্যাহত রাখিলে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং উক্তরূপ অর্থদণ্ড আরোপেরতারিখের পরেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল পরিচালনা বন্ধ না করিলেপ্রতিদিনের জন্য পাঁচশত টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ কতৃর্ক ফি আদায় | | ৮৫। পরিষদ উহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় নিবন্ধিতটিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল, প্যারামেডিক্যালইনস্টিটিউট ইত্যাদির নিকট হইতে সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত হারে বাৎসরিক ফিআদায় করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পুনঃনিবন্ধিকরণ | | ৮৬। (১) কোন টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ইত্যাদির নিবন্ধন ধারা ৮২এবং ৮৩ এর শর্তাংশে বর্ণিত অনিয়ম ব্যতীত, নিজস্ব ব্যত্যয়ের কারণে বাতিলহইয়া ধারা ৮৪ অনুযায়ী দন্ড প্রাপ্ত হইলে জরিমানা প্রদানের ছয় মাসের মধ্যেদ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানাসহ পুনঃনিবন্ধিকরণের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কারণউলেস্নখ পূর্বক আবেদন করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনদাখিলকৃত আবেদন তদনত্দপূর্বক সন্তষজনক বিবেচিত হইলে পরিষদ সংশিস্নষ্টপ্রতিষ্ঠানকে পুনঃনিবন্ধন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে পুনঃনিবন্ধনের সুযোগ একবারের বেশি গ্রহণ করিতে পারিবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | ষোড়শ অধ্যায় অন্যান্য স্থানীয় কতৃর্পক্ষ, অপরাধ, দণ্ড ইত্যাদি | |
| | |
যৌথ কমিটি | | ৮৭। কোন অভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন ইউনিয়নপরিষদ অন্য যে কোন ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পরিষদসমূহের সাথে বা কোন পৌরসভাঅথবা পৌরসভাসমূহের সাথে অথবা কোন স্থানীয় কতৃর্পক্ষ অথবা কতৃর্পক্ষসমূহেরসাথে যৌথ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথ কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং কমিটিরকায পরিচালনার জন্য প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগেরক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে বিরোধ | | ৮৮। যদি দুই বা ততোধিক পরিষদ অথবা কোন পরিষদ এবংপৌরসভার মধ্যে অথবা কোন পরিষদ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখাদেয়, তাহা হইলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য-
(ক) সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ একই জেলার হইলে, ডেপুটি কমিশনারের নিকট পাঠাইতে হইবে;
(খ) সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ একই বিভাগে হইলে, বিভাগীয় কমিশনারের নিকট পাঠাইতে হইবে; এবং
(গ)সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের হইলে অথবা একটি পক্ষক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হইলে সরকারের নিকট পাঠাইতে হইবে; এবং ক্ষেত্রমত, বিভাগীয় কমিশনার অথবা সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
অপরাধ ও দণ্ড | | ৮৯। (১) পঞ্চম তফসিলে বর্ণিত অপরাধসমূহ এই আইনের অধীনে দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।
(২)এই আইনের অধীনে কোন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৫,০০০ (পনের হাজার) টাকাপর্যন্ত অর্থদন্ড প্রদান করা যাইবে এবং উক্ত অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলেপ্রমবার অপরাধ সংঘটনের পর উক্ত অপরাধের সাথে পুনরায় জড়িত থাকিবার সময়কালেপ্রতিদিনের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড প্রদান করাযাইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
অপরাধের আপোষ রফা | | ৯০। চেয়ারম্যান অথবা নির্ধারিত কতৃর্পক্ষ কতৃর্কসাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা এইআইনের অধীনে কোন অপরাধের আপোষ মীমাংসা করিতে পারিবেন। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ | | ৯১। পরিষদ কর্তৃক ৰমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিকটহইতে লিখিত কোন অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত, এই আইনের অধীন কোন অপরাধবিচারার্থে গ্রহণ করিতে পারিবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য | | ৯২। প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে -
(ক)এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা বা অপরাধ সংঘটনের খবর সম্পর্কেঅনতিবিলম্বে পরিষদের চেয়ারম্যান বা সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তাকে অবহিতকরা;
(খ) পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধের ভিত্তিতে আইনসঙ্গত দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা। | |
| | |
| |
| | |
| | সপ্তদশ অধ্যায় বিবিধ | |
| | |
অবৈধ দখল | | ৯৩। (১) কোন ব্যক্তি কোন পরিষদের জায়গা, সড়ক অথবা নর্দমার বা তার অংশ বিশেষ স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অবৈধ দখল করিতে পারিবে না।
(২)পরিষদ নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে, অবৈধ দখলকারী ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়েরমধ্যে অবৈধভাবে দখলকৃত স্থানসমূহ হইতে তাহার সম্পদ বা সম্পত্তি অপসারণকরিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহা অপসারণ করা নাহইলে পরিষদ স্বীয় উদ্যোগে তাহা অপসারণের ব্যবস্থা করিবে এবং এই বাবদ খরচেরঅর্থ এই আইন মোতাবেক অবৈধ দখলের জন্য দায়ী ব্যক্তির উপর পরিষদের পাওনাহিসাবে ধায হইবে।
(৩) অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, এই ধারাঅনুসারে অপসারিত অথবা অপসারণযোগ্য মালামালের জন্য অবৈধ দখলদারকে কোন প্রকারক্ষতিপূরণ দেওয়া হইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
আপীল আদেশ | | ৯৪। এই আইন, বিধি বা প্রবিধান অনুসারে পরিষদকতৃর্ক প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি বিধিদ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্ধারিত কতৃর্পক্ষের নিকট আপিল করিতেপারিবেন; এবং এই আপিলের উপর নির্ধারিত কতৃর্পক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবেএবং ইহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
স্থায়ী আদেশ | | ৯৫। সরকার, সময়ে সময়ে, স্থায়ী আদেশ দ্বারা-
(ক) স্থানীয় পরিষদ ও স্থানীয় কতৃর্পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;
(খ) স্থানীয় পরিষদ ও সরকারি দপ্তরসমূহের কাযাবর্লীর সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে;
(গ) স্থানীয় পরিষদকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিশেষ শর্তে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে মঞ্জুরী প্রদান করিতে পারিবে;
(ঘ) কোন স্থানীয় পরিষদ কতৃর্ক অন্য স্থানীয় পরিষদকে চাঁদা প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে; এবং
(ঙ) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে স্থানীয় পরিষদকে সাধারণ নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা | | ৯৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ক্ষমতা ও কাযাবর্লী;
(খ) সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের ক্ষমতা ও বিশেষ কাযাবর্লী;
(গ) পরিষদের পক্ষে চুক্তি সম্পাদন;
(ঘ) পরিষদ কতৃর্ক যে সকল রেকর্ড, রিপোর্ট রক্ষণাবেক্ষণ, প্রস্তুত বা প্রকাশ করা হইবে তাহা নির্ধারণ;
(ঙ) পরিষদের কর্মকর্তা ও কমর্চারীগণের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলী;
(চ) তহবিল ও বিশেষ তহবিলসমূহের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও বিনিয়োগ;
(ছ) বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;
(জ) হিসাব রক্ষণ এবং নিরীক্ষণ;
(ঝ) পরিষদের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও হস্তান্তর;
(ঞ) উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিতকরণ, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন;
(ট)পরিষদের অর্থের বা সম্পত্তির ক্ষতিসাধন বা বিনষ্টিকরণ বা ক্ষমতারঅপপ্রয়োগের জন্য পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অন্য কোন ব্যক্তিরদায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিবার পদ্ধতি;
(ঠ) কর, রেইট, টোল এবং ফিস ধায, আদায় ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়;
(ড) পরিষদের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের কতৃর্পক্ষ নির্ধারণ পদ্ধতি;
(ঢ) পরিষদ পরিদর্শনের পদ্ধতি এবং পরিদর্শকের ক্ষমতা। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা | | ৯৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদ, সরকারেরপূবার্নুমোদনক্রমে, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এইরূপপ্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন নাকরিয়া অনুরূপ প্রবিধানে নিম্নরূপ বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) পরিষদের কাযাবর্লী পরিচালনা;
(খ) সভা আহবান;
(গ) সভার কোরাম নির্ধারণ;
(ঘ) সভার কাযবিবরণী লিখন;
(ঙ) সভায় গৃহীত প্রস্তাব বাস্তবায়ন;
(চ) স্থায়ী কমিটির বিষয়াদি ও কাযাবর্লী পরিচালনা;
(ছ) সাধারণ সীলমোহর হেফাজত ও ব্যবহার;
(জ) কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে পরিষদের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অর্পণ;
(ঝ) পরিষদের অফিসের বিভাগ ও শাখা গঠন এবং সব কাজের পরিধি নির্ধারণ;
(ঞ) গবাদি পশু ও অন্যান্য প্রাণীর বিক্রয় রেজিষ্ট্রিকরণ;
(ট) সাধারণের ব্যবহায সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ;
(ঠ) শ্মশান ও কবরস্থান নিয়ন্ত্রণ;
(ড) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ;
(ঢ) অবৈধ দখল রোধকরণ;
(ণ) গবাদি পশুর খোয়াড় ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ;
(ত) শিক্ষা সফর, পযবেক্ষণ ইত্যাদি উপলক্ষে সরকারি বা বেসরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ;
(থ) এই আইনের অধীন প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রণযোগ্য অন্য যে কোন বিষয়। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
বিধি ও প্রবিধান সংক্রান্ত সাধারণ বিধান, ইত্যাদি | | ৯৮। (১) পরিষদ সম্পকির্ত বিধি ও প্রবিধানের কপি পরিষদ অফিসে পরিদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য রাখিতে হইবে।
(২)সরকার নমুনা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং এইরূপ কোন নমুনা প্রবিধানপ্রণীত হইলে পরিষদ প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে উক্ত নমুনা অনুসরণ করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নির্ধারিত কতিপয় বিষয় | | ৯৯। এই আইনের অধীন কোন কাজ করিবার জন্যনির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও যদি কোন্ কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক বা কোন্ পদ্ধতিতে তাহাকরা হইবে তৎসম্পর্কে কোন বিধান না থাকে তাহা হইলে উক্ত কাজ সরকার কতৃর্কনির্দেশিত কতৃর্পক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
প্রথম নিবার্চনের জন্য পরিষদ এবং ওয়ার্ড | | ১০০। এই আইনের অধীন পরিষদের প্রথম নিবার্চনেরউদ্দেশ্যে এই আইন জারি হইবার পূর্ব পযর্ন্ত যে সকল পরিষদের অস্তিত্ব ছিল, সরকার ভিন্নরূপ কোন আদেশ না দিলে, এই আইনের অধীন ঘোষিত ইউনিয়ন বলিয়া গণ্যহইবে এবং উক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়ার্ডে ধারা ১৩ অনুযায়ীসীমানা নির্ধারিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
অসুবিধা দূরীকরণ | | ১০১। এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবারক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, আদেশদ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
ক্ষমতা অর্পণ | | ১০২। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনদ্বারা, এই আইন বা বিধিসমূহে বর্ণিত, যে কোন ক্ষমতা বিভাগীয় কমিশনার বাতাহার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
(২) বিভাগীয়কমিশনার, সরকারের পূবার্নুমোদনক্রমে, তাহার উপর অর্পিত যেকোন ক্ষমতা তাহারঅধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
লাইসেন্স ও অনুমোদন | | ১০৩। (১) এই আইন অথবা বিধি অথবা প্রবিধানে যাহাকিছুই থাকুক না কেন, কোন কাজ সম্পাদন করিবার জন্য পরিষদের অনুমতি বাঅনুমোদনের প্রয়োজন হইলে, উক্ত অনুমতি বা অনুমোদন লিখিত আকারে প্রদান করিতেহইবে।
(২) পরিষদ কতৃর্ক অথবা পরিষদের কতৃর্ত্বের অধীন প্রদত্ত সকললাইসেন্স অনুমোদন বা অনুমতি চেয়ারম্যান কতৃর্ক অথবা চেয়ারম্যানেরঅনুমোদনক্রমে বিধি ও প্রবিধান দ্বারা পরিষদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাকতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের | | ১০৪। সরকারিভাবে দায়িত্ব পালনকালে কোন পরিষদকিংবা কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী দ্বারা কৃত কোন কাজ, বা কাজ করাহইয়াছে বলিয়া মনে হইলে, সে সম্পর্কে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদানের পর একমাসঅতিবাহিত না হইলে তাহার বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা দায়ের করা যাইবে না এবং এইক্ষেত্রে পরিষদের নিকট লিখিত নোটিশ অফিসে বিলি করিতে বা পৌছাইতে হইবে এবংকোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে লিখিত নোটিশ তাহার নিকটপৌছাইতে হইবে কিংবা তাহার অফিসে বা আবাসিক ঠিকানায় পৌছাইতে হইবে এবংনোটিশে ফরিয়াদী হইতে ইচ্ছুক ব্যক্তি তাহার এইরূপ পদক্ষেপের কারণ, নিজ নাম ওআবাসিক ঠিকানা উল্লেখ করিবেন; এবং মোকদ্দমা আর্জিতে এই মর্মে একটি বিবৃতিঅন্তভুর্ক্ত থাকিতে হইবে যে, উপরোক্ত ব্যবস্থা অনুযায়ী নোটিশ পাঠানোহইয়াছে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
নোটিশ ও উহা জারিকরণ | | ১০৫। এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন কোনব্যক্তি কতৃর্ক কোন কিছু করিবার অথবা না করিবার প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্টব্যক্তিকে তাহা প্রতিপালনের সময় নির্দেশপূবর্ক নোটিশ জারি করিতে হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
প্রকাশ্য রেকর্ড | | ১০৬। এই আইনের অধীন প্রস্তুতকৃত এবং সংরক্ষিতযাবতীয় রেকর্ড এবং রেজিস্ট্রার, সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২(Evidence Act, 1872) এযে অর্থে ব্যবহত হইয়াছে, সেই অর্থে প্রকাশ্য রেকর্ড (Public document) বলিয়া গণ্য হইবে এবং বিপরীত প্রমাণিত না হইলে তাহা বিশুদ্ধ বলিয়া গণ্যহইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, ইত্যাদি জনসেবক (Public Servant) হইবেন | | ১০৭। পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা এবংকর্মচারী এবং পরিষদের পক্ষে কাজ করিবার জন্য যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্যব্যক্তি দণ্ড বিধি, ১৮৬০ (Penal Code, 1860) এর ধারা ২১ এ যে অর্থে জনসেবকঅভিব্যক্তিটি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক (Public Servant) বলিয়াগণ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | | |
| | |
রহিতকরণ এবং হেফাজত | | ১০৮। (১) এই আইন বলবৎ হইবার সঙ্গে সঙ্গে The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (Ord. No. LI of 1983), অতঃপর বিলুপ্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার পর -
(ক)এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীনে পরিষদ গঠিত না হওয়াপর্যন্ত বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার অব্যবহিত পূর্বে যে সকল পরিষদবিদ্যমান ছিল তাহা এই আইনের অধীন গঠিত পরিষদ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুসারেউহার কার্যাবলী পরিচালনা করিবে;
(খ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশের অধীনপ্রণীত সকল বিধি, প্রবিধান ও আদেশ, জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ বামঞ্জুরীকৃত সকল লাইসেন্স ও অনুমতি এই অধ্যাদেশের বিধানাবলীর সহিতসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত ও সংশোধিত না হওয়া পযর্ন্ত বলবৎ থাকিবেএবং এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত, প্রদত্ত, জারিকৃত বা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছেবলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) পূবর্তন পরিষদের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কতৃর্ত্ব ও সুবিধা, সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিতঅর্থ, বিনিয়োগ এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত উহার যাবতীয় অধিকার বা উহাতেযাবতীয় স্বার্থ উহার উত্তরাধিকারী পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে;
(ঘ)বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার পূবে পূবর্তন পরিষদের যে সকল ঋণ, দায় ওদায়িত্ব ছিল এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিলতাহা উহার উত্তরাধিকারী পরিষদের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহারসহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঙ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিতহইবার পূর্বে পূবর্তন পরিষদ কতৃর্ক প্রণীত সকল বাজেট, প্রকল্প ও পরিকল্পনাবা তৎকতৃর্ক কৃত মূল্যায়ন ও নির্ধারিত কর, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলীর সহিতসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পযর্ন্ত, এইঅধ্যাদেশের অধীন উত্তরাধিকারী পরিষদ কতৃর্ক প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
(চ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার পূর্বে পরিষদের প্রাপ্য সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ এই অধ্যাদেশের অধীন উত্তরাধিকারী পরিষদেরপ্রাপ্য বলিয়া গণ্য হইবে;
(ছ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার পূর্বেপূবর্তন পরিষদ কতৃর্ক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য দাবিইহার উত্তরাধিকারী পরিষদ কতৃর্ক পরিবর্তিত না হওয়া পযর্ন্ত একই হারেঅব্যাহত থাকিবে;
(জ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশ রহিত হইবার পূর্বে পূবর্তনপরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উত্তরাধিকারী পরিষদে বদলী হইবেন ও ইহারকর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাঁহারা উক্তরূপ বদলীর পূবে যেশর্তে চাকুরিরত ছিলেন, উত্তরাধিকারী পরিষদ কতৃর্ক পরিবর্তিত না হইলে সেইশর্তেই তাঁহারা ইহার অধীন চাকুরিরত থাকিবেন;
(ঝ) বিলুপ্ত অধ্যাদেশরহিত হইবার পূবে পূবর্তন পরিষদ কতৃর্ক বা ইহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যে সবমামলা মোকদ্দমা চালু ছিল সেই সব মামলা মোকদ্দমা ইহার উত্তরাধিকারী পরিষদকতৃর্ক বা ইহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে। | |
| | |
| |
| | |
| | |

| |
| |
১ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৬০ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত। | |

| |
| |
| |
| | | | |